এই সময় ছোট ছোট দল তৈরী করে বিভিন্ন জঙ্গলে শিকারে যায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা এবং জঙ্গলের বিভিন্ন বন্য প্রানী তারা শিকার করে এবং সেটা ভোজন হিসেবে খায়। দীর্ঘ যুগ যুগ ধরে আদিবাসী মানুষদের এই পরম্পরা পালিত হচ্ছে। তাই বন্যপ্রানী হত্যা রুখতে বেশ বিপাকে পড়তে ?
পশ্চিম মেদিনীপুর: ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচারই সার! বনবিভাগ সহ সরকারের সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে জঙ্গলজুড়ে চললো শিকার উৎসব, কার্যত দর্শকের ভূমিকায় পুলিশ ও বন কর্তারা।বছর কয়েক আগেই আদিবাসীদের শিকার উৎসবের মাঝে মারা পড়েছিলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এরপর থেকে জঙ্গলমহলে শিকার উৎসব বন্ধে কার্যত ঝাপিয়ে পড়ে সরকার পক্ষ। ফি বছরের মতো এবারেও মাস খানেক আগে থেকে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে শিকার বন্ধে প্রচার করা হয় বন দপ্তর, পুলিশের পক্ষ থেকে। কড়া পদক্ষেপের যেহেতু নড়েনি হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে সমস্ত নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে সোমবার সকাল থেকেই শিকার উৎসবে মাতলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বনদপ্তরের সাথে কার্যত লুকোচুরি খেলে শিকার করা হলো বন্য শূকর, খরগোশের মতো বন্যপ্রাণ। যদিও ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পুলিশ ও বন দফতরের তরফ থেকে জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালানো হয়। তবে নিজেদের ভীতি থেকে বেরিয়ে আসাকে কখনোই সম্ভব নয় তা কার্যত স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের তরফে। জঙ্গলমহলের শিকার উৎসব বন্ধ করা প্রশাসনের কাছে যে কড়া চ্যালেঞ্জ তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের শেষের সময় থেকে জুন মাস পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের এই শিকার উৎসব চলে। এই সময় ছোট ছোট দল তৈরী করে বিভিন্ন জঙ্গলে শিকারে যায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা এবং জঙ্গলের বিভিন্ন বন্য প্রানী তারা শিকার করে এবং সেটা ভোজন হিসেবে খায়। দীর্ঘ যুগ যুগ ধরে আদিবাসী মানুষদের এই পরম্পরা পালিত হচ্ছে। তাই বন্যপ্রানী হত্যা রুখতে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে বন দপ্তর ও পুলিশ কর্মীদের।