ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ধুলিয়াডাঙ্গা গ্রামে। শ্রীনগর ঠাকুরহাটি সমবায় সমিতিতে, এক মাত্র ছেলে তুহিন পালের চিকিৎসার জন্য তিনি জমি বেচে ৮ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন বেশ কয়েক বছর আগে। কারণ তারা ভেবেছিল ছেলের চিকিৎসার জন্য সমবায় সমিতি থেকে সময় মতো টাকা তুলতে পারবে। সেই মতো টাকা রাখলেও, বর্তমানে সমবায় সমিতি থেকে ২ বছর ধরে টাকা তুলতে না পারায়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। তাদের দাবি দ্রুত সমবায় কর্তৃপক্ষ তাদের টাকা ফেরত দিক। এমনি দাবি নিয়ে বার বার সমবায় দফতর থেকে জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়ছিল মিনা পাল ও তার পরিবারের লোকজন, কিন্ত মেলেনি সুরাহা।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সমবায় সমিতির বোর্ড মেম্বাররা সমবায় দফতরের প্রায় কয়েক কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের। সেই কয়েক কোটি টাকা কোটিপতি ব্যবসায়ী ও কোটিপতি ব্যক্তিরা সমবায় সমিতিতে টাকা পরিশোধ না করার জন্য সমিতির লাটে ওঠার উপক্রম। আর এর ফলেই মিনা পাল ও তার মতো একাধিক মানুষ পড়েছেন সমস্যায় তাদের গচ্ছিত টাকা না পেয়ে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার সমবায় সমিতি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় প্রতারিত গ্রাহকরা। যদিও এ বিষয়ে ব্লক সমবায় কৃষি আধিকারিক অর্পিতা চক্রবর্তী বলেন, "জেলাশাসক থেকে শুরু করে সকলকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা দেখছি দ্রুততার সাথে কিছু একটা ব্যবস্থা করা হবে।"