ঝাড়গ্রাম: ট্যুরিস্টদের কারো সাথে দেখা করার আমন্ত্রণ ছিলো কি না তা জানা যায়নি। তবে তার নামে যে বুকিং ছিলো না সেটা নিশ্চিত। কিন্তু দুপুর বেলা রামলাল (স্থানীয় লোকের দেওয়া হাতির নাম) নিজেই উপস্থিত হয় ঝাড়গ্রামের গড়শালবনী এলাকার একটি বেসরকারি অতিথি শালায়। দুপুরে গেট কিপার না থাকায় তার গেট কেউ খুলে দেয়নি। রোদে কতক্ষণ আর অপেক্ষা করা যায়। তাই বিশাল লোহার দরজা নিজেই শুঁড় দিয়ে ঠেলে খুলে চলে যায় ভেতরে। এই বিশেষ অতিথিকে দেখে তো সকলের চক্ষু চড়কগাছ। তার জন্যই বানানো এই এই অতিথি নিবাস মনে করে নিজের মতো ঘুরে দেখতে লাগলো রামলাল। অতিথি নিবাসের বাগানের সব্জি, জল, ফল দিয়ে অতিথি সৎকারও করে নিলো নিজেই। যতই হোক অতিথি দেব ভব বলে কথা। রামলালের জন্য খবর যায় বনদফতর এর কাছে। এদিকে জঙ্গলের হাতিকে এত কাছ থেকে দেখার সুযোগটা অতিথি নিবাসে থাকা অন্যান্য পর্যটকরা কেউ হাতছাড়া করেননি। এরপর কোনো রকম কোনো ক্ষতি না করে বনকর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে অতিথি নিবাস থেকে বেরিয়ে পাশ্ববর্তী জঙ্গলের দিকে বিকেলের হাঁটাটা সারতে রওনা দেয় রামলাল। উপভোগ করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ঝাড়গ্রামের গড়শালবনীতে রয়েছে পর্যটকদের জন্য একটি অতিথি নিবাস। সারা বছর বিভিন্ন সময়ে এই অতিথি নিবাসে আসেন পর্যটকরা জঙ্গলমহল ঘুরে বেড়াতে। তবে মঙ্গলবার এর বিকেলটা যে অতিথি নিবাস এ বসেই জঙ্গলের হাতি কে এত কাছ থেকে দেখতে পাবেন তা হয়তো অনেকেই ভাবেন নি। রামলালের কর্মকাণ্ডে দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা জঙ্গলমহলে একটু অন্যরকম দৃশ্য উপভোগ করলেন।