রবিবার বাড়ি ফেরার পরেই জেলা পুলিশের নির্দেশে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পক্ষ থেকে সায়ন্তনের কুইকোটার বাড়িতে গিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফেরার কথাও শোনান সায়ন্তন।
মেদিনীপুর: চরম অসহায়তা আর মৃত্যু আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটানো পশ্চিম মেদিনীপুরের আরেক পড়ুয়াও ওই বিমানেই রোমানিয়া থেকে ফিরছেন বলে জানা গেছে। মেদিনীপুর শহরের আবাস কুইকোটা এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক নবীন কৃষ্ণ দাসের ছেলে সায়ন দাস ফিরছেন ওই সি-১৭ বিমানে করেই। নবীন বাবু শালবনী ব্লকের গোদাপিয়াশাল স্কুলের শিক্ষক। তাঁর মেধাবী সন্তান কিভ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kyiv Medical University)'র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দুঃশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ফিরছেন সায়ন্তন। এজন্য, ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সায়ন্তনের পরিবার পরিজনেরা। রবিবার বাড়ি ফেরার পরেই জেলা পুলিশের নির্দেশে মেদিনীপুর কোতোয়ালী থানার পক্ষ থেকে সায়ন্তনের কুইকোটার বাড়িতে গিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফেরার কথাও শোনান সায়ন্তন। এদিন পুলিশের পাশাপাশি তার পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব সকলেই তাকে কাছে পেয়ে মিষ্টি মুখ করিয়ে আনন্দ ভাগ করে নেয়। ছেলেকে কাছে পেয়ে সায়ন্তনের মা বাবার চোখে মুখে ছিল অত্যন্ত খুশি আনন্দের ছাপ। সায়ন্তনকে ফুল মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানানোর পর কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকরা বেশকিছুক্ষন সময় কাটান সায়ন্তনের সঙ্গে। ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা জানাতে গিয়ে আতঙ্কের চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল সায়ন্তনের চেহারায়। রাশিয়ার মিসাইল হামলা থেকে শুরু করে ইউক্রেনের বিধ্বস্ত অবস্থার বর্ননা এবং ইউক্রেনের মানুষদের আর্তনাদ, যুদ্ধে নিহত ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ সবটাই গল্প আকারে উঠে আসে সায়ন্তনের কথায়। তবে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশে ফেরানোয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানায় সায়ন্তনের পরিবার।