শালবনী: বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামী সহ শশুর, শাশুড়ি দাদা বৌদির বিরুদ্ধে। ঘটনায় আটক মৃতার স্বামী প্রকাশ ঘোষ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে শালবনী থানার অন্তর্গত মেগাখাম গ্রামে। মৃতার নাম ববিতা রায় (২৭)। ঘটনায় প্রকাশ, গত ২০১১ সালের ১৪ আগস্ট শালবনীর মেগাখামের বাসিন্দা প্রকাশ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় মেদিনীপুরের আমতলার বাসিন্দা লালু রায়ের মেয়ে ববিতার। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকা পয়সার জন্য মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শশুর বাড়ির লোকেরা। তারই মধ্যে মৃতার স্বামী প্রকাশ ঘোষের সঙ্গে তার বৌদির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরী হয়। যা জানতে পারায় প্রতিবাদ করে ববিতা। অভিযোগ, এরপরই তার উপর আরও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়তে থাকে। বুধবার রাতে হঠাৎই ববিতার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় ববিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপরই ববিতার বাপের বাড়ীর লোকেরা শালবনী থানায় খবর দিলে শালবনী থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতার পরিবারের তরফে শালবনী থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনায় মৃতার স্বামী প্রকাশ ঘোষকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার শ্বশুর, শ্বাশড়ি, দাদা, বৌদি। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ববিতার পরিবারের লোকেরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শালবনী থানার পুলিশ। মৃতার মায়ের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তাদের মেয়ের উপর নানা রকম অত্যাচার চালাতো শ্বশুর, শ্বাশড়ি, দাদা, বৌদি। ববিতার একটি ১০ বছরের সন্তান রয়েছে, তার কথা ভেবেই, সমস্ত কিছু মুখ বুঝে সহ্য করতো ববিতা। কিন্তু তার পরিণতি যে এমনটা হবে, সেটা ভাবতেও পারিনি।