চৈত্র মাসেই সূর্যদেবের দাপুটে ব্যাটিংয়ে কার্যত কুপোকাত জেলার মানুষ। মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীর দেখা কবে পাওয়া যাবে, তারই আশায় বসে রয়েছেন সকলে। তবে এখনও পর্যন্ত আশার বাণী শোনাতে পারেননি আবহাওয়া দফতর (West Bardhaman Weather)। বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েও নিরাশ হতে হয়েছে জেলার মানুষজনকে। উপরন্তু তাপপ্রবাহের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস।দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির মত, গত কয়েকদিনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই উঠেছে (South Bengal Weather)। সকালের আবহাওয়া কিছুটা মনোরম থাকলেও, একটু বেলা বাড়লে সূর্যের প্রখর তাপে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন মানুষজন। বেলা ১১ টার পর থেকে আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা - ঘাট, বাজার - হাট।
advertisement
যদিও প্রয়োজনে বেশ কিছু মানুষকে রাস্তায় বেরোতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তারাও রীতিমতো সূর্যের তাপ থেকে বাঁচতে নানা রকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন (West Bardhaman News)। রাস্তাঘাটে যেখানেই ঠান্ডা পানীয়ের দোকান দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। আর অপেক্ষা করছেন কবে একফোঁটা বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে, কবে এই তীব্র গরম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এই বিষয়ে এখনি কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেন নি আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা (Weather Office)। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির সংলগ্ন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মানুষকে এই তীব্র গরমের দাপট এখন সহ্য করতে হবে। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাতের আশা থাকলেও, এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম (Rainfall Update)।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দুপুরের পর আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা গেলেও, বৃষ্টির জন্য এখনও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছেন হাওয়া অফিসের অধিকর্তারা। তারা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ। যার ফলে অস্বস্তি আরও বাড়বে। তা ছাড়াও বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ভ্যাপসা গরম সহ্য করতে হবে জেলার মানুষজনকে।
অন্যদিকে, চিকিৎসকরা এই সময় কিছুটা সাবধান থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন মানুষজনকে (West Bardhaman News)। তারা বলছেন, নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া এই প্রখর রোদে বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে সংযত হতে হবে। বাইরে বেরোলে টুপি, সানগ্লাস, স্কার্ফ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি সানস্ট্রোক এর হাত থেকে বাঁচতে গ্লুকোজ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ।তাছাড়া যে সমস্ত ফলে জলের পরিমাণ বেশি, সেই সমস্ত ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে, গরম থেকে বাঁচতে ঘনঘন স্নান করা বা বাইরে থেকে এসে সোজা এসির নীচে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তারা সাবধান করছেন। বলছেন, এর ফলে অসুস্থতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। জাঙ্ক ফুড কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। তাই নিজেদের সুস্থ রাখতে হলে গরমের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং যথাসম্ভব সাবধানে থাকতে হবে।
Nayan Ghosh