ইসিএলের পরিত্যক্ত খনি থেকে দেদার জল ভরা হচ্ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত একটি তেল সংস্থার নাম লেখা পেট্রোলের ট্যাঙ্কারে। ভাবছেন পেট্রলের ট্যাঙ্কারে জল, এতো সাংঘাতিক ব্যাপার । কিন্তু না, খোঁজ নিতে জানা গেল, দীর্ঘ দিন আগে শেষ হয়েছে ওই গাড়ির পেট্রোলিয়াম বহনের বৈধতা।
পাণ্ডবেশ্বর: আজব কাণ্ডের সাক্ষী থাকল পাণ্ডবেশ্বর এলাকা। ঘটনা দেখে হকচকিয়ে গেলেন সবাই। পেট্রোলিয়ামের গাড়িতে নির্জন স্থানে ভরা হচ্ছিল জল। তা লোক চক্ষুর সামনে আসতেই হতবাক হয়ে যান সকলেই। রীতিমতো হইচই পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। কিন্তু কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে উঠে আসে অন্য বিষয়। জানেন কি ঠিক হয়েছিল? পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা পাণ্ডবেশ্বর থেকে নবগ্রাম যাওয়া আসার রাস্তায় ফাঁকা নির্জন একটি স্থানে পুরোনো ইসিএলের পরিত্যক্ত চানকের সামনে দেখা মিলল পেট্রোলিয়ামের এক গাড়ির। প্রথমে দেখলেই থমকে যান সকলেই। অবাক হয়ে যান এলাকার অধিকাংশ মানুষ। যারা ওই পথে যাতায়াত করছিলেন, প্রথম দেখাতেই তারা দাঁড়িয়ে পড়েন ওই জায়গায়। এমনই চিত্র ধরা পড়ল পাণ্ডবেশ্বর থেকে নবগ্রাম যাওয়ার রাস্তায় ভাটমুড়ার কাছে নির্জন একটি স্থানে। এখানে ইসিএলের পরিত্যক্ত খনি থেকে দেদার জল ভরা হচ্ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত একটি তেল সংস্থার নাম লেখা পেট্রোলের ট্যাঙ্কারে। ভাবছেন পেট্রলের ট্যাঙ্কারেজল, এতো সাংঘাতিক ব্যাপার । কিন্তু না, খোঁজ নিতে জানা গেল, দীর্ঘ দিন আগে শেষ হয়েছে ওই গাড়ির পেট্রোলিয়াম বহনের বৈধতা। এমনটাই জানিয়েছেন গাড়ির চালক অর্ণব বসাক। তিনি জানান, এসব ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানেন না তিনি। শুধুমাত্র চালকের ভূমিকা পালন করেন। আর বর্তমানে এই ট্যাঙ্কারেকরে এলাকায় জল পরিবহণের কাজ হয়। তাহলে গাড়ির পেছনে কেন এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার নাম লেখা রয়েছে? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার অধিকাংশ মানুষ । এলাকার মানুষের বক্তব্য, শুধু শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করে কী লাভ? যদি পেট্রোলিয়াম পরিবহনের বৈধতা শেষ হয়েছে, তাহলে গাড়িটিকে সম্পূর্ণভাবে নতুন করে রং করা উচিত। যাতে করে মানুষ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার নাম লেখা ট্যাঙ্কারেজল ভরা হচ্ছে, এটা দেখে বিভ্রান্ত না হন। এ ব্যাপারে চালক অর্ণব বসাক জানিয়েছেন এই বিষয়ে তিনি তার মালিকের সঙ্গে কথা বলবেন।