চরম উৎকণ্ঠের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা কাটিয়েছেন উদ্ধার কার্যের পুরো সময়। যদিও তিন কিশোরী প্রাণে বেঁচে যাওয়ায়, কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, সাঁতার না জানার জন্যই দামোদরে তলিয়ে গিয়েছিল তিন কিশোরী। তবে সেসময় নদীর আশপাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এবং এক পুলিশকর্মীর তৎপরতায় কিশোরী তিন বোনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন Hooghly News: হাজার বছরের প্রাচীন কালিয়াগরের ডাকাত কালীর রোমহর্ষক কাহিনী, জানুন
advertisement
জানা গিয়েছে, নদীতে স্নান করতে নেমে তিন কিশোরী তলিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয়রা আলিসা পারভিন ও শামা পরভিনকে তৎপরতার সঙ্গে নদীতে কাপড় ফেলে উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে আলিসা পারভিনের বয়স ১৬ বছর। আর সামা পারভিন ১২ বছরের। এই দু’জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। যে জায়গায় ওই তিন কিশোরী তলিয়ে গিয়েছিল, সেখান থেকেই দু’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে অপর এক কিশোরী আলিয়া পারভিনকে ওই জায়গায় খুঁজে পাননি স্থানীয় উদ্ধারকারীরা। তাই সঙ্গে সঙ্গে ফোন যায় পুলিশের কাছে উদ্ধার কাজের জন্য।
ঘটনার খবর পেয়ে শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির এক কনস্টেবল বিশ্বনাথ বাবু সেখানে হাজির হন। নিজের জীবনকে বাজি রেখে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে আলিয়া পরভিন ১৪কে উদ্ধার করেন ওই পুলিশ কর্মী। এই ঘটনার পর, ওই তিন কিশোরীর মামা আবির আলি জানিয়েছেন, ডিসেরগড়ে দামোদর নদে স্নান করতে নেমে তিন কিশোরী তলিয়ে যায়। তিনজনেই টাটার যুগশালায় এলাকার বাসিন্দা। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বার্নপুর নয়াবস্তিতে তাদের মামাবাড়ি। তারা মামা বাড়ি ঘুরতে এসেছিল। তখনই তারা নামে নদীতে। আর সেখান থেকে তারা তলিয়ে যায়। অন্যদিকে, তিনজনের কেউই সাঁতার জানত না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আলিয়া পারভীনকে শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিস উদ্ধার করে শাঁকতোড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।
Nayan Ghosh