জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধেয় লরিটি দুর্গাপুর থেকে পানাগড় আসছিল। পথে কাঁকসার আন্ডার পাসে পুলিশ চেকিংয়ে ধরা পড়ে লরিটি। ওই স্থানে কর্তব্যরত কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশের লরিটিকে দেখে সন্দেহ হয়। চালকের কাছে বৈধ লাইসেন্স দেখতে চাইলে সে লাইসেন্স দেখায়। কিন্তু সেটার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। তখন লরি চালককে জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে, কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশের করা জরিমানার মেসেজ যায় লরির মালিকের মোবাইলে। এরপরই লরির মালিক ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা মুকেশ প্রসাদ কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় ধাওয়া করলেন বনকর্মীরা, উদ্ধার বিপুল শাল কাঠ
লরি মালিক জানান, কিছুদিন আগে তাঁর লরি চুরি হয়ে গিয়েছে। তিনি স্থানীয় থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন। এরপরই ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ওই লরিটিকে ধাওয়া করে। পানাগড় বাজারের কাছে লরি সহ চালককে আটক করে কাঁকসা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। কাঁকসা থানার পুলিশের জেরায় চালক চুরির কথা স্বীকার করে। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লরিটিও আটক করা হয়।
অন্যদিকে, কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশও বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। ঝাড়খণ্ডের নির্সা থেকে বিনা চালানে একটি গুল বোঝাই দশ চাকার লরিকে আটক করেছে পুলিশ। পুরানো কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের কাছে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর আটক করা হয় লরিটিকে। পাশাপাশি ওই লরির চালক সহ তিনজন দালালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই গুল বোঝাই লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গ জানা গিয়েছে, বৃষ্টিকে কাজে লাগিয়ে বিনা চালানের গুল ভর্তি লরিটিকে সীমান্ত থেকে বাংলায় ঢোকানোর প্রস্তুতি চলছিল। চেকপোষ্ট অতিক্রম করতে সহযোগিতা করছিলেন ঝাড়খণ্ডে বাসিন্দা সুবোধ রায়, পাপ্পু কুমার রায় এবং মৃত্যুঞ্জয় ওরফে বাপী যাদব।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তিন দালাল যারা অন্য একটি চারচাকা গাড়িতে থেকে গুল ভর্তি লরিটির পথ প্রদর্শকের কাজ করছিল। লরিটি ঝাড়খণ্ড থেকে বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল বলে খবর। চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালয়। সেই অভিযানে তিনজন দালাল ও লরির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া নিবাসী উত্তম মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ছিলেন লরি চালকের ভূমিকায়। ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়।
নয়ন ঘোষ