শনিবার ঝটিকা সফরে শহর দুর্গাপুরে পা রেখেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সৈয়দ কিরমানি। সেখানেই তিনি বলেন, "আমাদের প্রজন্মের কোন ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলতে না পারার জন্য আফসোস নেই। আমরা মনের আনন্দে ক্রিকেট খেলতাম। দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলতাম। আমাদের সময় কোন কোচ ছিল না। ভিডিও অ্যানালিস্ট ছিল না। ডাক্তার ছিল না। আমরা একে অপরকে দেখে শিখতাম। আমরা দেশের হয়ে খেলতাম। আমারা নিজেদের ক্ষমতার জোরেই দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছি।"ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা উইকেট কিপারের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে কিরমানির নাম। কিন্তু কীভাবে তিনি উইকেটকিপার হলেন, সেই গল্প বলতে গিয়ে কার্যত হাসিতে লুটিয়ে পড়েছেন তিনি। কিরমানি বলেছেন, "আমি টিমে জুনিয়ার ছিলাম। বড়রা বলতো, যাও উইকেটের পিছনে গিয়ে বল ধরো। কর্কেট বল হাতে লাগতো। তাই দুই হাতে দুটো ইট নিয়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে একদিন উইকেট কিপার হয়ে গেলাম।"
advertisement
অতীতের সঙ্গে বর্তমান ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের মূল্যায়ন করেছেন কিরমানি। তিনি বলেছেন, "আমাদের সময় একজন করে টিম ম্যানেজার থাকতেন। তিনি হোটেল আর ফ্লাইট বুকিং দেখতেন। আমাদের সময় ভারতের ক্রিকেট বোর্ড গরিব ছিল। আর এখন তো ভারতের ক্রিকেট বোর্ড, দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড।"সম্প্রতি আরেক উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহা প্রসঙ্গে কিরমানিকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, "ঋদ্ধিমান একজন ভালো উইকেট কিপার। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে ঋষভ পান্থ, কে এল রাহুল, সঞ্জু স্যামসান এর মত আরও অনেকজন ভাল উইকেট রক্ষক রয়েছেন। এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। সমস্ত ভালো উইকেট কিপারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে ঋদ্ধিমান সাহাকে।" সাহাকে নিরাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, "আমি চূড়ান্ত ফর্মে থাকা সত্বেও তিনবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলাম। কিন্তু পারফরমেন্সের জন্য আবার ফিরে এসেছি। ঋদ্ধিমানও একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার।" তাই নিরাশ না হয়ে প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য ঋদ্ধিমান সাহাকে পরামর্শ দিয়েছেন কিরমানি।