বৃহস্পতিবার কাঁকসার দক্ষিণ ক্যানেলপারের ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে এসে দেখে বিদ্যালয়ের গেটে তালা বন্ধ। এরপরেই অভিভাবকরা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বল লাহাকে বিষয়টি জানান। এই খবর পেয়ে তৎক্ষনাত পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বল লাহা বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে এসে তিনি দেখেন, বিদ্যালয়ের সামনে পড়ুয়ারা ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের গেটের তালা বন্ধ।এর পরেই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের ফোন করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বল লাহা। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে কিছুটা বাদানুবাদ হয় তার। ফোনে তিনি জানতে পারেন স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা ছাড়া কেন স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে, তার উত্তর দিতে পারেননি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষিকা।
advertisement
যদিও খানিক পরে পঞ্চায়েত সদস্যের ফোন পেয়ে ছুটে আসেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও সহায়িকা। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহায়িকা জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দারা হোলির আনন্দে মেতে উঠবেন বলেছেন। সেই কারণে তারা বিদ্যালয় বন্ধ রেখেছেন। তবে সরকারি ভাবে কোনও ছুটির নির্দেশ তাদের দেওয়া হয় নি। পাশাপাশি নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ বিদ্যালয়ের তালা খোলেন। তারপর পুনরায় স্কুলের পঠন পাঠন শুরু হয় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে। কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উজ্জ্বল লাহা জানিয়েছেন, এলাকার মানুষ ফোন করে তাকে স্কুল বন্ধের কথা জানালে তিনি ছুটে এসে পুনরায় স্কুল খোলা করান। তবে এই বিষয়ে তিনি বিডিওকে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।