বড়দিনের সন্ধ্যায় আসানসোলের ফুটপাতবাসীদের হাতে তিনি উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন কম্বল। তাছাড়াও তুলে দিয়েছেন একাধিক উপহার। এই ঠান্ডায় যখন সাধারন মানুষ বাড়িতে থেকেও কার্যত কাঁপছেন, তখন ফুটপাতবাসীদের দুর্দশা দেখতে পেয়েছেন সান্তাক্লজ (West Bardhaman Christmas)। শীতের রাতে তাদের কিছুটা আরামের অনুভূতি দিতে কম্বল বিতরণ করেছেন যিশুখ্রিস্টের জন্মদিনে। বড়দিনের সন্ধ্যায় সান্তার দাপাদাপি এখানেই শেষ হয়নি। সান্তাক্লজকে হাজির হতে দেখা গিয়েছে আসানসোলের বিভিন্ন চার্চে।সান্তাক্লজকে ঘিরে উন্মাদনা দেখা গেল সেখানে। পুলিশ থেকে শুরু করে, চার্চে আসা শ্রদ্ধালুদের সান্তাক্লজকে সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা গিয়েছে।
advertisement
অন্যদিকে, বড়দিনের আমেজে মাতলেন আপামর দুর্গাপুরবাসী। সকাল থেকেই দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে চার্চে ভিড় জমিয়েছেন অগণিত মানুষ। সকালের দিকে চার্চ খোলা ছিল। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন বহু মানুষ বহু মানুষ। তবে বেলা যত বেড়েছে, বেড়েছে মানুষের ভিড়ও। করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় চার্চ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। বেলার দিকে প্রার্থনা করতে এসে চার্চ বন্ধ থাকায় বিষণ্ন মনে ফিরে যান বহু মানুষ। চার্চে প্রভুর কাছে মোমবাতি ও গোলাপ ফুল দেওয়ার জন্য প্রচুর স্টল সাজিয়ে বসে ছিলেন এলাকার বিক্রেতারা। চার্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের ব্যবসাতেও মন্দা নেমেছে।
যদিও চার্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনপ্লাবন আটকাতে তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কিন্তু আগামীকাল সকাল আটটা থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত চার্চ খোলা থাকবে প্রার্থনার জন্য। উল্লেখ্য, এই ব্যাপক জনপ্লাবন সামলানোর জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা সহ পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রচুর পরিমাণে মোতায়েন করা হয়েছিল চার্চের সামনে। কিন্তু জনপ্লাবন আটকাতে বাধ্য হয়ে চার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
Nayan Ghosh






