যদিও দুর্গাপুরের এই হাসপাতালে আর্টিফিশিয়াল হাত বসানোর কাজ হবে না। জানা গিয়েছে, রেনুর কাটা হচ্ছে পুরোপুরিভাবে ঠিক হয়ে গেলে তাকে কলকাতায় পাঠানো হবে। আর্টিফিশিয়াল হাতের বসানোর জন্য রেনুকে কলকাতায় যেতে হবে। কলকাতার বেশ কয়েকটি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে এই আর্টিফিশিয়াল হাতের সুযোগ রয়েছে। সেখানেই রেনুর চিকিৎসা করানো হবে। উল্লেখ্য, এই কৃত্রিম হাত লাগানো বেশ খরচসাপেক্ষ। যদিও এই বিষয়ে রেনুর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে রেনুর জন্য আর্টিফিশিয়াল হাতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কি? দিশা দিচ্ছে কেরিয়ার কাউন্সেলিং
চিকিৎসকদের অনুমান, কলকাতার ভাল কোন সরকারি হাসপাতাল থেকে রেনুর জন্য আর্টিফিশিয়াল হাতের ব্যবস্থা করা হবে। তবে তার জন্য মোটামুটি ভাবে এখনও এক দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে রেনু খাতুনকে। তার কেটে যাওয়া ডান হাতটি পুরোপুরিভাবে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেই আর্টিফিশিয়াল হাত লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এই আর্টিফিশিয়াল হাত কতটা কাজে লাগবে রেনু খাতুনের? কিভাবেই বা এই হাত ব্যবহার করবেন তিনি?
আরও পড়ুনঃ মায়ের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, হাসপাতালের বেডে শুয়ে রেনুর শুরু লেখালিখি
এই বিষয়ে অর্থোপেডিক সার্জন সুশান্ত কাঞ্চন জানিয়েছেন, কৃত্রিম হাত লাগানোর পরে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে রেনুকে। সেই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রেনু খাতুনকে শিখিয়ে দেওয়া হবে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে আর্টিফিশিয়াল হাত। বুঝিয়ে দেওয়া হবে কি কি কাজে লাগবে এই কৃত্রিম হাত। প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হলে, এই কৃত্রিম হাত রেনুর জীবন আবার আগের মতো অনেকটাই সহজ করে দেবে বলে মনে করছেন সার্জন সুশান্ত কাঞ্চন। আর্টিফিশিয়াল হাত লাগানোর পর রেনুকে প্রায় দুই মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। চিকিৎসকদের হিসাব অনুযায়ী, মোটামুটি ভাবে সাড়ে তিন মাস পর থেকে রেনু খাতুন তার কৃত্রিম হাত ব্যবহার করে আবার তার জীবনের চলার পথ অনেকটা সহজ করে নিতে পারবেন।
Nayan Ghosh