পুলিশ সূত্রে খবর, কুখ্যাত ডাকাতদের নিয়ে একটি দল তৈরি করা হয়েছিল। যে দল গত রবিবার রানীগঞ্জের রামনগরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এসেছিল ডাকাতির জন্য (West Bardhaman News)। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, যথেষ্ট পরিমাণে বোমাবাজি করেছে ওই ডাকাতদল। চলেছে গুলি। আশপাশের বাড়িগুলিতে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে ওই ডাকাত দলের সদস্যরা। তবুও প্রতিবেশীর বুদ্ধিমত্তার জেরে পুলিশ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আপাতত তাদের জেরা করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
advertisement
রানীগঞ্জ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত যুদ্ধ বেধে যাওয়া ওই ডাকাতদল মিলিয়ে দিচ্ছে দিল্লি, বিহার এবং ব্যারাকপুরকে (West Bardhaman News)। পুলিশের সঙ্গে গ্যাংওয়ারে জড়িয়ে পড়া ডাকাতদল নিজেদের লক্ষ্য পূরণে অসমর্থ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের পরিচয় জানতে পেরে অবাক হচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যে চার জন ডাকাত সদস্য ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজন দিল্লির বাসিন্দা, একজন বিহারের বাসিন্দা এবং একজন ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কুখ্যাত ডাকাত সদস্যদের নিয়ে এভাবেই তৈরি করা হয়েছিল গ্যাংটি। জানা যাচ্ছে, কুখ্যাত তিন ডাকাতের মধ্যে, আকাশ ঝাঁ দিল্লির বাসিন্দা। ব্যারাকপুর এর বাসিন্দা চন্দন, এবং বিহারের বাসিন্দা মনোজ ওরফে মন্টু। পুলিশের তথ্য অনুসারে, তিনজনই কুখ্যাত বলে পরিচিত। তারা একটি গ্যাং তৈরি করে ডাকাতির ছক কষেছিল।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, রানীগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুন্দর ভালোটিয়ার বাড়ি ডাকাত দলের সদস্যরা নিশানা বানিয়েছিল (West Bardhaman News)। ঘটনার দিন রাত আটটা নাগাদ ওই ডাকাত দলের সদস্যরা নিজেদের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিক বলে দাবি করে। এই কথা শুনে দরজা খুলে দেন ব্যবসায়ীর বাড়িতে থাকা নিরাপত্তারক্ষী। তারপরে স্বমূর্তি ধারণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। একটি রুমের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাড়ির সমস্ত মহিলা সদস্যদের। অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। যদিও সে সময় বাড়ির এক সদস্য প্রতিবেশীকে ফোনে ডাকাত পড়ার ঘটনা জানিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে।
তারপর পুলিশ কমিশনার সুধীর নীলকণ্ঠমের নেতৃত্বে ঘিরে ফেলা হয় বাড়িটি। তখনই যথেষ্ট পরিমাণে বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে ডাকাত দলের সদস্যরা এলাকা থেকে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে (West Bardhaman News)। চালানো হয় গুলি। তখনই দুষ্কৃতীদের চালানো গুলিতে এক পুলিশ কর্মী সহ চারজন আহত হয়েছেন। তা ছাড়াও আশপাশের বাড়িতে ডাকাত দলের সদস্যরা গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের কড়া নজরদারির ফলে কুখ্যাত ওই চার সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। ডাকাতদলের ফেলে যাওয়া ব্যাগ ভর্তি বোমা, রিভলবার, মোবাইল ফোন এবং একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Nayan Ghosh