আসানসোলের তালপাকুরিয়া এলাকায় অবস্থিত দুর্গা প্রাইমারি স্কুল। এর পথচলা শুরু করেছিল ১৯২৭ সালে। এটি আসানসোলের সবথেকে পুরনো সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হিন্দি মাধ্যম স্কুল। কিন্তু আজ সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১১ জন। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা হয়। এদিকে ১১ জন পড়ুয়ার মধ্যে সকলে রোজ উপস্থিতি থাকে না। মাত্র দু'জন শিক্ষক নিয়ে কোন রকমে চলছে স্কুলটি।
advertisement
আরও পড়ুন: ছোট্ট টেডি উপহার দিয়ে ভালবাসার মানুষকে জানান প্রতিকী আদর
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন করুণ দশা হল এই স্কুলের? অনেকের ধারণা পাশ দিয়ে চলে যাওয়া জাতীয় সড়ক এর প্রধান কারণ। জাতীয় সড়ক পেরিয়ে অভিভাবকরা সন্তানদের আর স্কুলে পাঠাতে চান না। তাছাড়া আশপাশে আরও কয়েকটি হিন্দি মাধ্যম স্কুল তৈরি হয়েছে। যেখানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ আছে। ফলে অভিভাবকরা চাইছেন একই স্কুলে সন্তান প্রথম শ্রেণি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করুক। এই কারণে আরওই ছেলেমেয়েরা দুর্গা প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হচ্ছে না বলে ধারণা করছেন অনেকে।
কিন্তু শতাব্দি ছুঁতে চলা এই প্রাচীন বিদ্যালয়টির করুন দশা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। সকলেই চাইছেন শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলটির হাল ফিরুক। বিদ্যালয়ের যে দু'জন শিক্ষক রয়েছেন তাঁরাও প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করার জন্য প্রচার চালান। কিন্তু এই স্কুলের হাল কি আদৌ ফিরবে? উত্তর জানা নেই। তবে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু কুমারী দেবী বা অপর শিক্ষক চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছেন না।
নয়ন ঘোষ





