উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটের পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। জয়লাভ করে বোর্ড গঠন করেছিলেন। দ্বিতীয়বার তাঁকে আবার প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার জয় অধরা থেকে গেল। মদন বাউরির রাজনৈতিক জীবন বেশ বৈচিত্র্যময়। বামেদের আমলে তিনি ছিলেন বিধায়ক। ২০০১ সালের তৎকালীন উখরা বিধানসভা থেকে নির্বাচনে লড়াই করে প্রথমবার জয়লাভ করেন। প্রথমবারের জন্য বিধায়ক হিসেবে শপথ নেন তিনি।
advertisement
এরপর ২০০৬ সালেও ওই বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের টিকিটে তিনি লড়াই করে জয় লাভ করেন। দ্বিতীয়বার তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ সালে পালাবদল। ২০১৮ সালে লাল ঝান্ডা ত্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান মদন বাউরী। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনও করেন তিনি।
নেতার মৃত্যুতে নেমেছে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার সকালে বহুলা হাইস্কুল পাড়ায় নিজের বাড়িতেই মৃত্যু হয়েছে পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মদন বাউরির।
আরও পড়ুন, আরও একটি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করল RBI, আপনার অ্যাকাউন্ট এখানে নেই তো?
আরও পড়ুন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ৫ ঘণ্টা বৈঠক! গভীর রাতে গম্ভীর আলোচনা মোদি-শাহ-নাড্ডার
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। নেতার পরিবারের এক সদস্যা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মদন বাবু। রাত্রিবেলা খাওয়া দাওয়া সেরে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। সকালে উঠে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পান পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক এসে মদন বাউড়িকে মৃত ঘোষণা করেন। আকস্মিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবার তথা এলাকায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘুমের ঘোরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
Nayan Ghosh