বাইকের মূল্য, জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী দাম, এই সবের জন্য বাইক নিয়ে লাদাখ যাওয়ার স্বপ্নকে আপাতত স্থগিত করেছেন তিনি। পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন লাদাখের দিকে। হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু করেছিলেন যাত্রা।
পশ্চিম বর্ধমান: লক্ষ্য ঠিক থাকলে, স্বপ্নের ওপর জোর থাকলে আর অদম্য জেদ থাকলে, দু'পায়ে ভর করে যাওয়া যায় লাদাখ। এমনটাই প্রমাণ করে দেখাচ্ছেন বছর ২৬ এর এক যুবক। অনিল মাঝি, হুগলি সিঙ্গুর এর বাসিন্দা। স্বপ্ন ছিল লাদাখ যাওয়ার। তবে স্বপ্নে শুরুটা ছিল একরকম, আর বাস্তবটা ঠিক উল্টো। তবে লক্ষ্য স্থির রেখেছেন তিনি। যাচ্ছেন লাদাখ। যদিও প্রথমে তার স্বপ্ন ছিল বাইক নিয়ে লাদাখ যাবেন। কিন্তু বাইকের মূল্য, জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী দাম, এই সবের জন্য বাইক নিয়ে লাদাখ যাওয়ার স্বপ্নকে আপাতত স্থগিত করেছেন তিনি। পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন লাদাখের দিকে। হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু করেছিলেন যাত্রা। তারপর হাঁটতে হাঁটতে এসে পৌঁছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। তবে এইটুকু যাত্রা সামান্য মাত্র। তিনি আগামী ১০০ দিনের মধ্যে পৌঁছে যেতে চান লাদাখ। দেখে আসতে চান তার স্বপ্নের লাদাখ। দেখে আসতে চান ঠান্ডা মরুভূমির রূপ, হিমালয়ের কারাকোরাম রেঞ্জ এর উঁচু উঁচু শৃঙ্গ আর প্রকৃতির অপরূপ রূপ। এই যাত্রা সম্পন্ন করতে চান তিনি প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করছেন। প্রথমদিকে প্রচন্ড যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। শারীরিক ক্লান্তি গ্রাস করছিল বারবার। তবে ধীরে ধীরে সেই সব সমস্যা দূর হচ্ছে। যদিও এই সবকিছুর জন্য বিগত কয়েক মাস ধরে লাগাতার করে যেতে হয়েছে প্র্যাকটিস। তারপর দু চোখের স্বপ্ন আর নিজের দুই পায়ের ওপর ভর করে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। যাচ্ছেন লাদাখ। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন স্বপ্ন পূরণের দিকে। আর যুবসমাজকে বার্তা দিচ্ছেন, যতদিন বয়স আছে, ততদিন স্বপ্ন পূরণের জন্য কোন বাধাই, বাধা নয়। সব কিছুকে ভেদ করে এগিয়ে যাওয়া যায়, যদি লক্ষ্য স্থির থাকে।