শতাব্দী প্রাচীন এই দেবীর মন্দিরে তেমন জৌলুস নেই। মাঝেমধ্যে সংস্কার হলেও একচিলতে মন্দিরেই নিত্যসেবা হয় শ্যামারূপার। বিশেষ বিশেষ তিথিতে কিছুটা আড়ম্বরের সঙ্গে পুজো হয়। তবে দুর্গাপুজোর সময় শ্যামারূপার আরাধনা ঘিরে স্থানীয় মানুষের উদ্দীপনা থাকে তুঙ্গে। পুজোর চারদিন জাঁকজমক ও আড়ম্বরের সঙ্গে, নিষ্ঠাভরে পুজো করা হয়। নরনারায়ণ সেবা হয়। হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
advertisement
গড় জঙ্গলের দেবী শ্যামারূপা। দেবী একাধারে কালী, আবার অন্যরূপে দুর্গা। কথিত, অবিভক্ত বাংলার প্রথম দুর্গাপুজো হয় এখানেই। শারদোৎসবে দেবী শ্যামারূপা প্রথম দুর্গারূপে পুজিত হন এই জঙ্গলে।
শ্যামারূপার মূল মূর্তি রয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে। সেখানে সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ। দুর্গাপুজোর মহাষ্টমী তিথির সন্ধিপুজো, শ্যামারূপা মন্দিরের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ। ওই দিন দেবীর পুজো দেখতে স্থানীয় মানুষদের ঢল নামে। বাইরে থেকেই বহু মানুষ আসেন দেবীর আশীর্বাদ নিতে। ওই দিন মন্দিরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় মন্দির কর্তৃপক্ষ।শোনা যায়, দুর্গাপুজোর মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে বিশেষ তোপধ্বনি শোনা যায় মন্দির প্রাঙ্গণে।





