ঘরে ঘরে মাটির প্রদীপে জ্বালিয়ে আলোর উৎসবে সামিল হওয়ার মানুষের সংখ্যা কমছে। আর তাতেই শিরে সংক্রান্তি প্রদীপ প্রস্তুতকারকদের। একটা সময় ছিল, যখন দীপাবলির বহু আগে থেকে থাকত ব্যস্ততা। কুমোর পাড়ায় তিন চার মাস আগে থেকে শুরু হয়ে যেত প্রস্তুতি। চলতো হাজার হাজার মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় দাঁতনের যুবক! কৃতিত্ব জানলে অবাক হবেন
advertisement
কিন্তু এখন মাটির প্রদীপের চাহিদা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এখন দিন ১৫ আগে থেকেই কাজ শুরু করেন কুমোরেরা। আলোর উৎসবে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকলেও, শিল্পীরা এখনও মাটির প্রদীপ বানানো থেকে সম্পূর্ণ বিরত হতে পারেননি। তাই সেই প্রাচীন পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনও অল্প সংখ্যক মাটির প্রদীপ বানান তাঁরা। তবে এর দামও কমেছে অনেকটা।
আরও পড়ুন: মাছের জন্যে বাঁকুড়া জেলা তাকিয়ে নৈহাটির দিকে! কারণ জানলে অবাক হবেন
আধুনিক আলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে তাঁদের। তবুও বছরের পর বছর ধরে চলে আসা পারিবারিক ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সরে যেতে পারছেন না তাঁরা। তাই অল্প হলেও তৈরি করছেন মাটির প্রদীপ। তেমনি ছবির দেখা মিলল আসানসোলে। কিন্তু মাটির প্রদীপ কতটা বিক্রি হবে, তা নিয়ে এখনও চিন্তা রয়েছে বিক্রেতাদের। একইসঙ্গে তাঁরা বলছেন, মাটির প্রদীপ তৈরি করতে যে পরিশ্রম করতে হয়, সেই তুলনায় লাভ হয় না প্রায় কিছুই। তবুও দীপাবলী উপলক্ষে মাটির প্রদীপ বানিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
Nayan Ghosh