একদিকে যখন রাজ্যজুড়ে ভোটের ফলাফল নিয়ে মানুষ ব্যস্ত, তখন সালানপুর দুটি অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়। একদিকে বাইক আরোহীকে আক্রমণের চেষ্টা। আবার অন্যদিকে এলাকার এক ফিজিওথেরাপিস্টের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার। এই দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সালানপুর থানা এলাকায়।পুলিশ দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্রের খোঁজ করছে। (West Bardhaman News) জানা গিয়েছে, মৃত ফিজিওথেরাপিস্টের নাম সৌমেন পাল। তিনি রূপনারায়ানপুর আমডাঙা অনামিকা পাড়ার বাসিন্দা। তিনি আসানসোলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ফিজিওথেরাপিস্ট ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে নিজের স্ত্রী অর্চনা পালের সঙ্গে কথা হয় তার। ফোনে তিনি বাড়িতে জানান, নার্সিংহোমের কাজ সেরে তিনি বেরিয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরছেন তিনি।
advertisement
পরিবারের দাবি, তারপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ পাওয়া যায়নি তার। আজ বুধবার সকালে মাধাইচক অঞ্চলের জঙ্গল থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহটি কোথা থেকে এল, এবং মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপর সৌমেন পালের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মৃত দেহটি শনাক্ত করেন। কি কারণে এই ঘটনা, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে (West Bardhaman News)।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সৌমেন বাবুর কোন শত্রু ছিল না। পরিবারের সদস্যরাও একই কথা বলছেন। অন্যদিকে আবার তাদের অনুমান, খুন করা হয়েছে সৌমেন পালকে।
পাশাপাশি ওই একই রাস্তাতে আর একটি ঘটনা খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত দাস নামের এক ব্যক্তি কাজ থেকে বাইক নিয়ে রূপনারায়ানপুর নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। ওই রাস্তা দিয়েই বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেইসময় তিনজন দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে যায়। কিন্তু তিনি বাইকের গতি বাড়িয়ে সেখান থেকে চলে যেতে সক্ষম হন।
এই দুটি ঘটনা থেকে পুলিশের অনুমান, যে স্থানে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের ঘটনাটি হয়েছে, তার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উদ্ধার করা হয়েছে ফিজিওথেরাপিস্টের দেহ। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে মাধাইচকে উদ্ধার হয় ওই ফিজিওথেরাপিস্টের দেহ। তাই অনুমান করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেও সৌমেন বাবুকে আক্রমণ করে থাকতে পারে। দুটি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে সালানপুর থানার পুলিশ। কিন্তু পরপর এমন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। সালানপুর এলাকায় প্রায় দিনই এমন ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত রয়েছেন।
Nayan Ghosh