TRENDING:

Asansol Book Fair: বইমেলার উদ্বোধন, দুঃষ্প্রাপ্য বইগুলি ডিজিটালাইজ করতে সওয়াল গ্রন্থাগার মন্ত্রীর

Last Updated:

বইয়ের সম্ভার জেলার মানুষের দুয়ারে এসেছে৷ বর্তমানে দফতরের বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়ন ঘোষ, আসানসোল : ক্রমাগত নামছে তাপমাত্রার পারদ। রাজ্যজুড়ে ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে পড়ছে শীত। যদিও শঙ্কার বাণী শুনিয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পারদ পতনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। নিম্নচাপের জেরে তাপমাত্রার পতন কিছুটা ব্যাহত হতে পারে। তবে শীতের শুরুতেই উদ্বোধন হয়ে গেল বইমেলার। পশ্চিম বর্ধমানের বইমেলার উদ্বোধন হলো শনিবার।
মেলার উদ্বোধনে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, মলয় ঘটক সহ বিশিষ্টরা।
মেলার উদ্বোধনে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, মলয় ঘটক সহ বিশিষ্টরা।
advertisement

আসানসোলের পোলো ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিধায়ক মলয় ঘটক। দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে, প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে বইমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আসানসোলের পোলো ময়দানে বইমেলা চলবে আগামী পাঁচ দিন। সব মিলিয়ে প্রায় ৮১ টি প্রকাশনী সংস্থা বই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। শীতের শুরুতেই বইমেলার আয়োজনে খুশি জেলার মানুষ। বইপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই মেলার স্টল গুলিতে ঢুঁ মারতে শুরু করেছেন।

advertisement

তবে মহামারীর এখনো চলে যায়নি সংক্রমণ ও এখনো শূন্যের নিচে নামেনি তাই মেলার আয়োজন এর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছেন আয়োজকরা। মেলার মধ্যে করোনার জন্য সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রী, আসানসোল পুরসভার প্রশাসক এবং উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা, মানুষকে মেলার ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছেন। সব মিলিয়ে শীতের আমেজ আরও পরিপূর্ণ করে তুলতে বইমেলা আয়োজনে খুশি জেলার মানুষ।

advertisement

উল্লেখ্য, আগে জেলার তরফে বইমেলার আয়োজন করা হতো পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমানে। তবে ২০১৭ সালে পূর্ব বর্ধমান থেকে আলাদা জেলা রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে পশ্চিম বর্ধমান। তারপর থেকে আসানসোলের পোলো ময়দানে বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে আলাদাভাবে। চলতি বছরে পঞ্চম বর্ষে পা দিল এই বইমেলা। গত বছর মহামারীর জন্য ছোট করে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এ বছর সংক্রমণ আরও কিছুটা নিম্নমুখী হওয়া এবং ব্যাপকহারে টিকাকরণ কর্মসূচি চলার জন্য, আয়োজকেরা নতুন উদ্যমে বইমেলার আয়োজন করেছেন। পোলো ময়দানে নীল সাদা কাপড়ে সেজে উঠেছে বইমেলার স্টলগুলি। ৮১ সিটি ছোট-বড় প্রকাশনী সংস্থা তাদের সমাহার নিয়ে হাজির হয়েছে। বিভিন্ন লেখকের, বিভিন্ন স্বাদের বই রয়েছে সেখানে। জেলার বই প্রেমী মানুষের কাছে আগামী পাঁচ দিনের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে আসানসোলের পোলো ময়দান।

advertisement

View More

আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত এই জেলা বইমেলা চলবে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউড়ি, জেলা শাসক এস অরুণ প্রসাদ, অতিরিক্ত জেলা শাসক অভিজিৎ সেভালে, পুর প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জি, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী প্রমুখ।

advertisement

শনিবার বিকেল তিনটে নাগাদ প্রদীপ জ্বালিয়ে এই মেলার উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি জেলা বইমেলা উপলক্ষ্যে একটি স্মারক পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগতিক ভাষণ পাঠ করেন জেলা গ্রন্থাগারিক নিমার্ল্য অধিকারি। মেলায় ছোটো বড়ো মিলিয়ে প্রায় ৮১টি প্রকাশনি সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে ৷ এছাড়াও মেলার মাঠে মোট ১১০ টি স্টলের আয়োজন করা হয়েছে৷ মেলার মাঠে বইপ্রেমীদের মনোরঞ্জনের জন্যে প্রতিদিন থাকবে নানান আলোচনা সভার আয়োজন। একই সাথে কোভিড বিধি মেনে আয়োজিত হবে কবি সম্মেলন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ! মুগ্ধ করা জাগলিং, এবার বাঁকুড়া কাপালেন জাগলার বিপাশা বৈষ্ণব
আরও দেখুন

এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি বলেন, বই মানুষের জীবনের সাথী। সেই বইয়ের সম্ভার জেলার মানুষের দুয়ারে এসেছে৷ বর্তমানে দফতরের বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি জেলা বইমেলার প্রচার চালানোর ব্যবস্থা করার জন্যেও আয়োজকদের আবেদন করেন মন্ত্রী। দুঃষ্প্রাপ্য বইগুলির ডিজিটালাইজ করার বিষয়েও জোর দেন তিনি।

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Asansol Book Fair: বইমেলার উদ্বোধন, দুঃষ্প্রাপ্য বইগুলি ডিজিটালাইজ করতে সওয়াল গ্রন্থাগার মন্ত্রীর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল