বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দু'টি কুনকি হাতিকে নিয়ে আসা হয়েছে, সেই দু'টি হাতি অত্যন্ত বিশ্বস্থ এবং দক্ষ। দলমার দাঁতালদের নিয়ন্ত্রণ করতে এদিন দুর্গাপুর হয়ে জঙ্গলমহলের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে শম্ভু এবং মীনাক্ষী। গুরুদায়িত্ব সামলানোর আগে তারা কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়েছে দুর্গাপুরে এসে।
advertisement
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ৩০ থেকে ৩৫ টি হাতির একটি দল পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সেখানে বন কর্মী কম থাকায় হাতি গুলিকে বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই অন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে জেলার বন দফতর। তারপরেই জলদাপাড়ার পিলখানা থেকে দু'টি কুনকি হাতিকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনা মত শম্ভু এবং মীনাক্ষীকে ঝাড়গ্রামে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের কাজ শেষ হয়ে গেলে আবার জলদাপাড়ার পিলখানায় দু'টি কুনকি হাতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে খবর।
মূলত তিনদিনের সফর পার করে এদিন দুর্গাপুর হয়ে ঝাড়গ্রাম জুলজিকাল পার্কে পৌঁছেছে শম্ভু এবং মীনাক্ষী। যাত্রা পথে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছে দুর্গাপুরে। এদিন দু'টি লরিতে করে কাক ভোরে দুর্গাপুরে এসে পৌঁছয় শম্ভু এবং মীনাক্ষী। অভিজ্ঞ দু'টি কুনকি হাতিকে দুর্গাপুরে রাখা হয় বন কর্মীদের তত্ত্বাবধানে। সেখানে কিছুক্ষণ আদর আপ্যায়ন করা হয় শম্ভু এবং মীনাক্ষীকে। তারপর ফের তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জঙ্গলমহলের দিকে।
জঙ্গল মহলের বন কর্মীরা মনে করছেন, শম্ভু এবং মীনাক্ষী অর্থাৎ এই দু'টি কুনতি হাতির সাহায্যে জেলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো দলমার দাঁতালদের ঝাড়খন্ডে ফেরানো সম্ভব হবে। তাই এই মুহূর্তে বন কর্মী এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের ভরসা শম্ভু এবং মীনাক্ষী। তাই দীর্ঘ যাত্রাপথ পার করে জঙ্গলমহলের মাসিহা হয়ে শম্ভু এবং মীনাক্ষীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এই দীর্ঘ যাত্রাপথের মাঝেই এদিন দুর্গাপুরে এসে পৌঁছেছিল শম্ভু এবং মীনাক্ষী। সেখানে অল্প কিছু খাওয়া-দাওয়া এবং বিশ্রাম নিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত এই দুটি কুনকি হাতির সঙ্গে পাঠানো হয়েছে দক্ষ মাহুত এবং পাতিওয়ালা।
Nayan Ghosh