উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই অভিভাবক থেকে পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা মহলের দাবি জোরাল হচ্ছিল স্কুল খোলার জন্য। এমত অবস্থায় রাজ্য সরকার করোনার জন্য নতুন যে নির্দেশিকা জারি করেছে, এত অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপশি পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পাড়ায় পাড়ায় পাঠশালার আয়োজন করা হবে। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক(School reopens) পরীক্ষা যারা দেবেন, তারা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে পারবেন।
advertisement
তবে এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বারবার সাবধান করছেন। কারণ ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে(School reopens)। বিভিন্ন স্কুলগুলিতে দফায় দফায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। স্কুল থেকেই দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন। কিন্তু অনেক পড়ুয়া এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে উঠতে পারেননি। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কুল খুললেও, আগের মতোই সাবধানতা অবলম্বন করে যেতে হবে। বিদ্যালয়ে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। দূরত্ব বৃদ্ধি মানতে হবে। পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে গিয়ে যাতে সাবধানতা অবলম্বন করে, সে বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও এখনও পর্যন্ত সংক্রমনের ভয় একেবারে কেটে যায় নি। তাই স্কুল খুললে ভ্যাকসিন নিলেও সাবধানতা যাতে বজায় থাকে, সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলে বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে সরস্বতী পুজোর মুখে বিদ্যালয় খোলার(School reopens) সিদ্ধান্ত খুশি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কারণ দীর্ঘদিন পরে স্কুল খুললেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায়, আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ার পর, বিভিন্ন জায়গা থেকে স্কুল খোলার দাবি তোলা হচ্ছিল। পড়ুয়ারাও চাইছিল যাতে শীঘ্রই ক্লাসরুমের দরজা খুলে যায়। এ অবস্থায় রাজ্য সরকারি স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত খুশির সঞ্চার করেছে পড়ুয়া মহলে।
রাজ্য সরকারের স্কুল খোলার(School reopens) সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকরাও। বিশেষভাবে খুশি সেইসব অভিভাবকরা, যাদের ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক দেবে এই শিক্ষাবর্ষে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার নির্ঘণ্টও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এই শিক্ষাবর্ষ সেই অর্থে ক্লাস হয়নি। তাই স্কুল খোলা থাকলে, আগামী কয়েকদিন ক্লাস হলে কিছুটা সুবিধা পাবে পড়ুয়ারা। এমনটাই অভিমত অভিভাবকদের। স্বভাবতই স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকরা।
পাশাপাশি, অনেক অভিভাবক বলছেন দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ(School reopens) থাকা এবং অনলাইন ক্লাস হওয়ার ফলে অনেক ছেলেমেয়ে মোবাইলের নেশায় বুঁদ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তা যেমন চোখের পক্ষে ক্ষতিকর, ঠিক তেমনভাবে মানসিকভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই অভিভাবকরা চাইছিলেন ছেলেমেয়েদের অনলাইন ক্লাস থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করছেন তারা।
Nayan Ghosh






