ডাক পরিষেবার পাশাপাশি, মানুষের ঘরে শুদ্ধ গঙ্গাজল তুলে দেওয়ার জন্য কৃতিত্ব পেয়েছে আসানসোল ডাক বিভাগ। এই বিষয়ে আরও সজাগ দৃষ্টি দিতে চাইছেন আসানসোলের মুখ্য ডাকঘর এর সিনিয়র পোস্টমাস্টার। গঙ্গা জল বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে আলাদা কাউন্টার। সেখান থেকেই গঙ্গাজল বিক্রি হচ্ছে। মানুষের চাহিদা মেটাতে শুদ্ধ গঙ্গা জলের বোতল সাজানো রয়েছে সেই কাউন্টারে।
advertisement
মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা এবং চাহিদার কারণে বেড়েছে প্যাকেজড গঙ্গাজল বিক্রি। চলতি অর্থবর্ষে শীর্ষস্থান দখল করেছে আসানসোল বিভাগ। ডাকঘর থেকে হু হু করে বিকিয়েছে প্যাকেজড গঙ্গাজল। ডাকঘর থেকে গঙ্গা জল বিক্রির নিরিখে চলতি অর্থবর্ষে দেশের সেরা ডাক বিভাগের শিরোপা পেয়েছে আসানসোল পোস্ট ডিভিশন।
এ বিষয়ে আসানসোল মুখ্য ডাকঘর এর সিনিয়র পোস্টমাস্টার সন্দীপ মন্ডল জানিয়েছেন, মানুষের কাছে এই প্যাকেজড গঙ্গা জলের গুরুত্ব রয়েছে। পূজার্চনার জন্য বহু মানুষ ডাকঘর থেকে গঙ্গা জল সংগ্রহ করছেন। তাদের আস্থা রয়েছে এই গঙ্গাজলের ওপর। গত আট মাসে আসানসোল ডিভিশনে ২০০০ বোতলের বেশি প্যাকেজ গঙ্গাজল বিক্রি হয়েছে। প্রত্যেকদিন মানুষের জন্য ডাকঘরে একটি গঙ্গা জল বিক্রির কাউন্টার রাখা হচ্ছে। সেখানে মানুষজন প্রয়োজনীয় গঙ্গা জল সংগ্রহ করছেন। সন্দীপবাবু দাবি করেছেন, তিনি আসানসোল ডিভিশনে যোগদান করার পর এই অর্থবর্ষে বেশিরভাগ গঙ্গা জলের বোতল বিক্রি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরঘরে গঙ্গা জলের প্রয়োজনীয়তা বাঙালি বোঝাতে হবেনা। আর ডাকঘর থেকে প্রাপ্ত গঙ্গাজল, একেবারে বিশুদ্ধ এবং হিমালয় থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে দাবি। তাই এই গঙ্গা জলের গুরুত্ব বাড়ছে বাঙালির ঠাকুরঘরে। তারই প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে আসানসোল ডিভিশনের এই নয়া কৃতিত্বে। আসানসোল ডিভিশন এর প্রতিটি পোস্ট অফিস থেকেই গঙ্গা জলের বোতল সংগ্রহ করছেন মানুষজন।
নয়ন ঘোষ






