মেয়র পদের দায়িত্ব পাওয়ার পরে কেমন লাগছে? কতটা প্রত্যাশিত ছিল এই পদ?
প্রথমত, আসানসোলের মেয়র পদের দায়িত্ব পাওয়া আমার কাছে একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। কোনওরকম আভাস ছিল না। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে এই দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। এই দায়িত্ব পেয়ে ভীষণ খুশি। খুব ভাল লাগছে।
advertisement
মেয়র পদে শপথ নেওয়ার আগে কি রকম প্রস্তুতি চলছে?
সেই অর্থে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু নেই। দলের শীর্ষ নেতানেত্রীরা আমার ওপর ভরসা রেখেছেন। মানুষের জন্য কাজ করব। এমনিতেই আসানসোল পুরসভা জুড়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। আগামীদিনে যে সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলি সম্পন্ন করব।
মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের পরে প্রাথমিকভাবে কোন কাজের দিকে নজর দেবেন?
আসানসোলের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে শহরের অনেক মানুষের অভিযোগ রয়েছে। গাড়ুই নদী কার্যত মজে গিয়েছে। শহরের অনেক বাড়িতে নর্দমার জল ঢুকে যায়। তাই প্রাথমিকভাবে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির দিকে নজর দেব। গাড়ুই নদী সংস্কার করা হবে। শহরের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নতির জন্য পদক্ষেপ করবে পুরসভা। নির্বাচনী ইস্তেহারে গাড়ুই নদী সংস্কার নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রতিশ্রতি পূরণ করা হবে।
আচ্ছা, কলকাতার পরেই আসানসোল রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরসভা। আগামীদিনে আপনার সামনে কি কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছেন?
না, না। চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। শহরবাসীর সুবিধার্থে পুরসভা এলাকায় অনেক কাজ হয়েছে। রাস্তা-ঘাট, আলো – বিভিন্ন বিষয়ে পুরসভা বিগত কয়েক বছরে অনেক কাজ করছে। আমরা মানুষের সঙ্গে কাজ করি। মানুষকে নিয়ে কাজ করি। তাই মানুষই আমাদের কাজ করে দেন। তাই চ্যালেঞ্জের কিছু নেই।
আপনি একধারে বারাবনির বিধায়ক। আবার আসানসোল পুরসভার মেয়র পদে বসতে চলেছেন। কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা বিধায়ক-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কোনও আলোচনা করবেন?
অবশ্যই। ববিদা (ফিরহাদ হাকিম) আমাদের দলের অনেক বরিষ্ঠ নেতা। অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। অবশ্যই তাঁর সঙ্গে আলোচনা করব। সাজেশনস্ নেব।
আপনার বিধানসভা এলাকায় সময় দিতে পারবেন?
নিশ্চয়। আমি তো আগেই বললাম আমাদের কাজ মানুষের সঙ্গে। আমার বিধানসভা এলাকার প্রতিটা মানুষই আমার কাছে আত্মীয়। তাঁদের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। তাঁরাও আমার পাশে সবসময় আছেন। তাই আমার বিধানসভা এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা হবে না।
আপনি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতিও। সংগঠনের দিকে সময় দিতে পারবেন?
নিশ্চয়। সংগঠন আমার কাছে সব। সংগঠনকে আমি ভীষণভাবে ভালবাসি। আপনারা দেখেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমি গোটা জেলাজুড়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। জেলায় দলের সংগঠনকে মজবুত করতে সবরকম কাজ করেছি। আগামীদিনেও সংগঠনের দিকে আমার নজর থাকবে। দায়িত্ব বাড়লেও সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে কোনও শীথিলতা আসবে না।
আপনার বাবা এলাকার দাপুটে নেতা ছিলেন। জেলার রাজনীতিতেও আপনার গুরুত্ব বাড়ছে। কি বলবেন?
প্রতিটা সন্তানের উচিৎ তার বাবার যোগ্য পুত্র হয়ে দেখানো। আমার বাবাকে এলাকার মানুষ খুব ভালবাসতেন। বাবাও এলাকার মানুষের সঙ্গে সবসময় থাকতেন। আমিও তাই করব।
আপনি কি আর কিছু বলতে চান এই প্রসঙ্গে?
হ্যাঁ। আমি আমার দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাবো। পাশাপাশি আসানসোলের মানুষ, দলের কর্মী-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাব। দায়িত্ব নেওয়ার পরে মানুষের জন্য কাজ করব।
শেষ প্রশ্ন, বিরোধী নেতা নেত্রীরা শুভেচ্ছা জানিয়েও কটাক্ষ করছেন। কোনও উত্তর দেবেন?
না, আমি কারও কটাক্ষের জবাব দিতে চাই না। যাঁরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সকলকে ধন্যবাদ।
Nayan Ghosh