কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটনার মোড় ঘুরে গিয়েছে ১৮০ ডিগ্রি। ইসিএল কর্তৃপক্ষ নাকি দাবি করছে, যে জমিতে আদিবাসীরা বসবাস করছেন, সেই জমি ১৯৭৩ সাল থেকে ইসিএল এর মালিকানাধীন। অন্যদিকে স্থানীয় আদিবাসীরা বলছেন, তাদের পূর্বপুরুষরা ১০০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন। তাহলে সেই জমি কি করে ইসিএলের হতে পারে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। যার কারণে আদিবাসী গাঁওতা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে ।
advertisement
আরও পড়ুন: অপেক্ষায় থাকে কাঠবিড়ালি-কাক-শালিক-ছাতারেরা, জগন্নাথের সঙ্গে আত্মীক টান, মন ভাল করা কারণ
স্থানীয় দল ভাঙা গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের অভিযোগ, কুমারডিহ খোলা মুখ খনির খনন কাজ চলছে। বিভিন্ন সময় করা হচ্ছে ব্লাস্টিং। যার ফলে ঘরবাড়িতে দেখা দিচ্ছে ফাটল। ব্লাস্টিং করার সময় পরিবারকে নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে হয়। এই সমস্ত অসুবিধা কথা জানিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামের মানুষজন।
প্রাথমিকভাবে প্রথমদিকে বলা হচ্ছিল, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এখন ইসিএল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, সেই জমি সংস্থার অধীনে রয়েছে। যার পরে ব্যাপকভাবে ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মানুষ। সেজন্য তারা খোলা মুখ খনির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের দাবি, লিখিতভাবে তাদেরকে ক্ষতিপূরণের এবং পুনর্বাসনের আশ্বাস দিতে হবে।
নয়ন ঘোষ