আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ির খাবারই নাকি পরিপূর্ণ খাবার! বললেন আধিকারিক
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ধনঞ্জয় মণ্ডল বলেন, উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে চারা নিয়ে গিয়ে জেলার অনেক কৃষক এখন ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। ড্রাগন চাষ করতে গেলে সবচেয়ে যেটা জরুরি তা হল গাছকে প্রয়োজন মত খাবার দেওয়া। জল খুব বেশি প্রয়োজন নেই, কিন্তু খাবারটা সব সময় দিতে হবে। দুই রকমভাবে খাবার দেওয়া যেতে পারে। জৈব পদ্ধতি বা প্রাকৃতিক পদ্ধতি অপরদিকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে খাবারের যোগান দিয়ে ড্রাগন চাষ করা যায়। রাসায়নিক সার দিয়ে যারা ড্রাগন চাষ করবেন তাঁদের পটাশ এবং ফসফরাস সার দিতে হবে। যারা জৈব পদ্ধতিতে চাষ করবেন তাঁদেরকে ভার্মি কম্পোস্ট এবং পাতা পচা সার দিতে হবে। আর যারা প্রাকৃতিক উপায়ে এই চাষ করতে চান তাঁদেরকে ঘনজীবামৃত স্প্রে করতে হবে।
advertisement
ড্রাগন গাছে প্রায় দেড় বছর পর ফল আসে। আগাছা অপসারণ করে নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে ড্রাগন গাছে। গাছ একটু বড় হলেই চারার মাঝে সিমেন্টের লম্বা খুঁটি করতে হবে। গাছ বড় হলে খড় বা নারকেলের রশি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে যাতে কান্ড বের হলে খুঁটিকে আঁকড়ে ধরে গাছ সহজে বাড়তে পারে। প্রতিটি খুঁটির মাথায় একটি করে মোটরসাইকেলের পুরানো টায়ার মোটা তারের সাহায্যে আটকে দিতে হবে। তারপর গাছের মাথা ও অন্যান্য ডগা টায়ারের ভেতর দিয়ে বাইরের দিকে ঝুলিয়ে দিতে হবে। এই কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে ড্রাগন চাষ করে ভাল লাভের মুখ দেখবেন চাষিরা।
পিয়া গুপ্তা