তার আগে মোটরসাইকেলের ডিজাইনের বিবর্তন নিয়ে সামান্য হলেও শব্দ খরচ করতেই হয়। একেবারে শুরুর দিকের মোটরসাইকেলের ডিজাইন দেখলে সেখানে মোটে একটাই সিট চোখে পড়বে। পিলিয়ন সিটের অস্তিত্বমাত্র নেই, আছে শুধু রাইডার সিট, তাও আবার সাইকেলের মতো ছোট সিট। কারণটা এর উদ্ভব সংক্রান্ত। মোটরসাইকেল নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সেই রহস্য। মোটর দেওয়া সাইকেল, এর বেশি আর কিছু নয়। সেই জন্যই ডিজাইনও প্রায় সাইকেলের মতোই। পরে যদিও মোটরসাইকেল স্বতন্ত্র এক যান হিসেবে পরিচিতি করে নিয়েছে, ডিজাইনও বদলে গিয়েছে।
advertisement
আরাম এবং ভারসাম্য
আসলে এখন মোটরসাইকেলগুলো দৈনন্দিন ভ্রমণকে সহজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যে কারণে আসনের উচ্চতা এবং প্রস্থে সুরক্ষা এবং আরাম দুটোকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। অনেকেই লক্ষ্য করেছেন যে বেশিরভাগ বাইকে পিলিয়ন সিট কিছুটা উঁচুতে থাকে এবং এর বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত কারণও রয়েছে।
বাইক চালাতে গেলে যেমন আরোহীকে ভারসাম্য বজায় রাখা রপ্ত করতে হয়, ঠিক তেমনই উভয় চাকার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাও অপরিহার্য। এর জন্য সামনের এবং পিছনের টায়ারে ওজনের সমান বন্টন প্রয়োজন। একটি উঁচু পিলিয়ন সিট যাত্রীকে বাইকের মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্রের কাছাকাছি রাখে, ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি হ্রাস করে।
সহজ ভাবে বললে যখন চাকার মধ্যে দূরত্ব স্থির করা হয়, তখন ওজন ঠিক রাখা বাইকটিকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। উঁচুতে বসা ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই একটু সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন, যার ফলে ওজন মাঝখানে চলে আসে এবং সামগ্রিক ভারসাম্য উন্নত হয়। এটি হাওয়ার ধাক্কাও হ্রাস করে, যা মসৃণ যাত্রার সুযোগ করে দেয়।
আরও পড়ুন- ১ লিটার পেট্রোলে Royal Enfield Bullet 350 কত কিলোমিটার চলে? জানুন আসল মাইলেজ
সুরক্ষা এবং সাসপেনশন
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল সুরক্ষা। উঁচুতে বসার ফলে পিছনের ব্যক্তিটি রাইডারের পিছনে আরও ভালভাবে সুরক্ষিত থাকতে পারেন, বাতাস, ধুলো এবং কম্পনের প্রভাব কম হয়। এছাড়াও, এই উঁচু অবস্থানটি বাইকের সাসপেনশনের সঙ্গে আরও কার্যকরভাবে কাজ করে, যা নিশ্চিত করে যে, পিছনের আরোহী কম ধাক্কা অনুভব করছেন।
