অগ্নি ৫ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের জন্য ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল প্রযুক্তি সহ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অগ্নি ৫ –এর সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হল। ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের নিয়ে আমরা গর্বিত’।
আরও পড়ুন: ল্যাপটপ বাড়িতে ভুলেই চলে গিয়েছেন অফিস? চিন্তা নেই, শুধু হাতে ফোন থাকলেই হবে
advertisement
কোল্ড ওয়ারের সময় এমআইআরভি প্রযুক্তি প্রথম তৈরি করে আমেরিকা। এমআইআরভিতে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। অর্থাৎ একটা মিসাইল একাধিক জায়গায় টার্গেট হানতে সক্ষম। রাস্তা দিয়ে যে কোনও জায়গায় নিয়েও যাওয়া যায়। সোজা কথায়, সহজে বহনযোগ্য নিউক্লিয়ার ব্যালেস্টিক মিসাইল।
এমআইআরভি প্রযুক্তি কী: দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে এম মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্রে একাধিক ওয়ারহেড নেওয়া যায়। ফলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। পাশাপাশি একাধিক ওয়ারহেড দিয়ে একটি লক্ষ্যবস্তুকেও আঘাত হানা যাবে। এই প্রযুক্তি তিনটি পর্যায়ে কাজ করে।
প্রথম পর্যায়ে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে বায়ুমণ্ডলে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্রগুলি একে অপরের থেকে আলদা হয়ে যায়।
তৃতীয় পর্যায়ে প্রতিটা ওয়ারহেড তার লক্ষ্যের দিকে এগোতে শুরু করে। এবং শেষ পর্যায়ে আঘাত হানে।
অগ্নি ৫ কোথায় আলাদা: ভারতের কাছে অগ্নি সিরিজের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত মিসাইল রয়েছে। অগ্নি ৫ সবচেয়ে শক্তিশালী। ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থল বা সমুদ্রে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। সড়কপথে যে কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। আগের অগ্নি মিসাইলে এই বৈশিষ্ট ছিল না। বর্তমানে এমআইআরভি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে পাকিস্তানও।