ফলে ড্রাম এবং ব্রেক শু-র ঘর্ষণে গাড়ি দাঁড়িয়ে যেত। কিন্তু এতে হুইললকিং নীতি কাজ করে না, ফলে যে কোনও সময় বাইক স্কিড করার সম্ভাবনা ছিল। স্কিডিং এড়াতেই চালু হয় অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস।
এবিএস কী: এবিএস বলতে অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বোঝায়। চাকা স্কিড করা আটকাতে এই সিস্টেম আনা হয়েছে। এতে ব্রেক করার সময় চাকা লক হয় না, রাস্তার সঙ্গে ট্রাক্টিভ কন্ট্র্যাক্ট বজায় থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন- মাইক্রোসফট এআই-এর প্রধান, মোস্তাফা সুলেমানের জীবন যেন রূপকথা!
বাইকে এবিএস কীভাবে কাজ করে: এবিএস ব্রেকিং সিস্টেমের তিনটি অংশ। ইসিইউ কিট, ব্রেক এবং হুইল স্পিড সেন্সর। এটা সাধারণত পিছনের চাকার ইনস্টল করা হয়।
স্পিড সেন্সরকে এমনভাবে ম্যাপ করা হয়েছে, যা চাকার সম্ভাব্য লক আপ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এই সেন্সর ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত, যা চাকাকে কিছুটা দূরত্বে রোল করতে এবং নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে লক করতে দেয়। এভাবেই এবিএস কাজ করে।
সাধারণত ডিস্ক ব্রেকে এবিএস থাকে। ড্রাম ব্রেকে ইনস্টল করা যায় না। KTM Duke 250, Bajaj Pulsar 220-এর মতো প্রিমিয়াম বাইকগুলিতে ইনবিল্ট এবিএস রয়েছে।
বাইকে এবিএস থাকলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়: এবিএস-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, হঠাত জোরে ব্রেক কষলেও চাকা স্কিড করবে না। অনেক বাইকার স্টান্টকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
তাঁরা যখন স্টপি-র মতো স্টান্টের খেলা দেখান তখন এবিএসের গুরুত্ব বোঝা যায়। MotoGP রাইডাররা স্লিপার ক্লাচ ব্যবহার করে। তারা যখন একপাশে ঝুঁকে বাইক চালায় তখন এবিএস কার্যকর হয়। তাঁরা ক্রমাগত ব্রেক কষতে থাকে, কিন্তু এবিএস চাকাকে মাটির সঙ্গে ধরে রাখে। স্কিড থেকে বাঁচায়।
আরও পড়ুন- ভারতে কোন রঙের গাড়ি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়? ৯৯% মানুষ জানেন না সঠিক উত্তর
বাইকে এবিএস-এর গুরুত্ব: আগে প্রিমিয়াম বাস এবং গাড়ির মতো বড় যানবাহনে এবিএস ইনস্টল করা হত। কিন্তু পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বাইক নির্মাতারা মোটরসাইকেলে এবিএস ইনস্টল করতে শুরু করেন। এটা ব্যয়বহুল। কিন্তু কাজ করে একশো শতাংশ।