কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই পরিষেবা?
আসলে Yatri Sathi App-এ থাকা ডিজিটাল টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজেদের রুট অথবা গন্তব্য বেছে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে অনলাইনে পেমেন্টও করতে পারবেন। ফলে আর প্রয়োজন হবে না খুচরোর। পেমেন্টও যেমন সহজ হবে, আর বাসের ভিড়ও অনেকটাই কমে যাবে।
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
advertisement
তিনি বলেন যে, Yatri Sathi-র মাধ্যমে ডিজিটাল টিকিটিংয়ের সূচনা কলকাতায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের খেলাটাই ঘুরিয়ে দেবে। শুধু তা-ই নয়, পরিবহণ দফতরের সচিব ড. সৌমিত্র মোহন বলেন যে, আমরা সমস্ত WBTC রুটে এই ফিচার সম্প্রসারণ করছি। এর ফলে নিত্য যাতায়াত শুধু সহজই হবে না, সেই সঙ্গে তা লক্ষ লক্ষ যাত্রীর জন্য নিরাপদ হয়ে উঠবে।
Yatri Sathi: ক্রমবর্ধমান প্রভাব
সূচনার পর থেকে প্রায় ৭০ হাজারেরও বেশি গাড়িচালককে সংযুক্ত করেছে Yatri Sathi App। সেই সঙ্গে উপকৃত হয়েছেন প্রায় ২৭ লক্ষ ব্যবহারকারী। ট্রিপের সংখ্যাও ইতিমধ্যে ৬০ লক্ষ পার করেছে। প্রাথমিক ভাবে জিরো-কমিশন ক্যাব রাইড প্রদান করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এটি। শুধু তা-ই নয়, গাড়িচালকদের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি এই অ্যাপ যাত্রীদের জন্যও সাশ্রয়ী বিকল্প হয়ে উঠেছে। এখন বাস টিকিটিং ব্যবস্থার হাত ধরে এই অ্যাপ পাবলিক ট্রান্সপোর্টের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে কলকাতার হাজার হাজার যাত্রীর ভ্রমণ অভিজ্ঞতাও উন্নত হচ্ছে।
শুধু কলকাতাতেই থেমে থাকবে না এই পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্যান্য শহরেও তা ছড়িয়ে পড়বে। আর এই শহরগুলির তালিকায় থাকতে চলেছে শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর এবং আসানসোলও। যাতে সমগ্র রাজ্যবাসী এই ডিজিটাল টিকিটিং ব্যবস্থার উপযোগিতা পান, তা নিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ।
এর পাশাপাশি রিয়েল-টাইম বাস ট্র্যাকিং, সফর পরিকল্পনা এবং মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট সলিউশনসের সাহায্যে যাত্রীদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উন্নত করাই লক্ষ্য Yatri Sathi-র। সেই সঙ্গে Yatri Sathi-কে একটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি অ্যাপে পরিণত করাই হল এর চূড়ান্ত লক্ষ্য। যা শুধু পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ক্ষেত্রেই নয়, গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়ে ওঠে।