শুধু শরীরের ডিটক্স করলে হবে না। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মনেরও ডিটক্স প্রয়োজন। বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে। সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত দেখে অনেকেই আতঙ্কিত। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটএ বুঁদ হয়ে রয়েছে তরুণ প্রজন্ম। অবস্থা দেখে গত সপ্তাহে ১৬ বছরের কম বয়সী কিশোর-কিশোরীরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ভারতে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও আইন লাগু হয়নি। তবে মানসিক সুস্থতা এবং সম্পর্কের কথা ভেবে নিজেদেরই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। না, আইন লাগু করতে হবে না। ডিজিটাল জীবনকে শুধু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তাহলেই হবে। আইনের দরকার পড়বে না।
advertisement
আরও পড়ুন- দাম ১০ হাজার টাকারও কম! বাজারে আসছে Moto G35! কেনার আগে ফিচার দেখে নিন
ডিজিটাল ডিটক্স কেন গুরুত্বপূর্ণ: মন বারবার নোটিফিকেশনের দিকে চলে যায়। ফিড দেখতে ইচ্ছা করে। এর প্রভাব পড়ে কাজে। বাস্তব জীবনে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্বেগ, একাকীত্ব নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে সামগ্রিক জীবনেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
কী করা উচিত: একজন ইউজার কতক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছেন, তা নিজেকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। আইফোনে স্ক্রিন টাইম ফিচার রয়েছে। মোট সময়, ইউজার কোন অ্যাপ বেশি ব্যবহার করছেন, ফোন আনলক করার হার ইত্যাদি সব জানা যায় এ থেকে। নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহারের দৈনিক সীমাই সেট করা যায় এতে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে রাশ টানা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে যায়।
অ্যান্ড্রয়েড ইউজাররা গুগলের ডিজিটাল ওয়েলবিইং টুল ব্যবহার করতে পারেন। এই ফিচার স্ক্রিন টাইম এবং অ্যাপ ব্যবহারের সময় ট্র্যাক করে। দৈনন্দিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ভিজ্যুয়াল গ্রাফও তৈরি করে দেয়।
আরও পড়ুন- বাইক চালান যাঁরা, শীতে অনেকের সর্দি-কাশি হয়! বাঁচবেন কী করে? রইল টিপস
বেশ কিছু ডিটক্স অ্যাপও রয়েছে বাজারে। যেমন ‘ডাম্ব ফোন’। এই অ্যাপ মিনিমালিস্ট হোম স্ক্রিন তৈরি করে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ সরিয়ে ফেলে। এছাড়া রয়েছে ‘ওপাল’। এই অ্যাপও স্ক্রিনটাইম ট্র্যাক করে। এছাড়া ‘ফরেস্ট’ অ্যাপও ব্যবহার করতে পারেন ইউজাররা। এটা মজার অ্যাপ। এই অ্যাপে ভার্চুয়াল গাছ রয়েছে। ইউজার ফোন ব্যবহার না করলে গাছ বড় হতে থাকে। আর ব্যবহার করলে উল্টোটা। আর খুব বেশি ব্যবহার করলে গাছ মরে যায়। গাছ যত বড় হবে, তত ভার্চুয়াল কয়েন জমা হবে। সেই কয়েন দিয়ে বাস্তবে বৃক্ষরোপণ করতে পারবেন ইউজার।