সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার -
সেই সাংবাদিকের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি, যিনি এনএসও গ্রুপ দ্বারা নির্মিত ম্যালওয়ারের শিকার হয়েছিলেন। এরা সরকার এবং আইন প্রবর্তক এজেন্সিদের টেকনোলজি বিক্রি করে। ইজরায়েলি এই কোম্পানি জানিয়েছে যে, তাদের গ্রাহকরা সন্ত্রাসবাদী, হিংসা এবং অপরাধ বন্ধ করার জন্য এই ধরনের স্পাইওয়্যারের প্রয়োগ করে। এছাড়াও জানানো হয়েছে যে, বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের সমালোচনাকারীদের নিশানা করার জন্য এই স্পাইওয়্যারের প্রয়োগ করে।
advertisement
আরও পড়ুন - Facebook-এ এই ভুলগুলি কখনও করেননি তো? সাবধান হন, নয় তো হাজত বাস পাক্কা
আইফোন হ্যাক করার জন্য ব্যবহার -
এনএসও ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে এই জিরোক্লিক স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারকে সাহায্য করে চলেছে। অ্যামনেস্টি এবং সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে যে, কম করে ৬টি আলাদা আলাদা জিরোক্লিক ম্যালওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এই জিরোক্লিক ম্যালওয়ার প্রয়োগ করা হয়েছে অ্যাপলের আইওএস ভার্সনের ১০ থেকে ১৪-তে। আইফোন হ্যাক করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। রিসার্চ অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে জিরোক্লিক ম্যালওয়্যার অ্যাপল ডিভাইসের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
জিরোক্লিক ম্যালওয়্যারের লাভ -
জিরোক্লিক ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ইউজারদের আইফোনে আইমেসেজ পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউজারদের অনুমতি ছাড়াই আইফোন ম্যালওয়ারের ওয়েবসাইট কানেক্ট হয়ে যায়। রিসার্চাররা লক্ষ্য করে দেখেছেন যে এই ম্যালওয়ার মেসেজ অ্যাপল পডকাস্ট, মিউজিক অ্যাপ, অ্যাপল ফটো এবং ওয়াইফাই কলিং-এর মতো ফিচারের খামতির সুবিধা উঠিয়েছে। কারণ এই সকল ফিচারে অনেক খামতি রয়েছে। এই ম্যালওয়ার এই সকল খামতির মাধ্যমে আইফোন হ্যাক করেছে। এর পরই অ্যাপল এনএসও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অ্যাপলের তরফে সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে আমেরিকা ফেডারেল এবং স্টেট ল লঙ্ঘন করার অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - ইনবক্স মেমোরি ভর্তি হয়ে গিয়েছে? এক ক্লিকেই মুছে ফেলুন Gmail-র সব প্রোমোশনাল মেল, দেখে নিন কীভাবে
এনওসও-র ডিজাইন -
এনওসও গ্রুপ এই জিরোক্লিক অ্যাটাক ডিজাইন করেছে। এটি হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন খামতির ফায়দা তুলতে সক্ষম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ওপর টার্গেট করা হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের এই খামতি মেরামত করে। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে যে, এর মাধ্যমে দুই মাসের মধ্যে তাদের প্রায় ১৪০০ ইউজারের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়। এর জন্য তারা এনওসও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
অনেকদিন ধরেই চলছিল এই কার্যকলাপ -
অ্যামনেস্টি এবং সিটিজেন ল্যাব জানিয়েছে যে ২০১৮ সালের জুলাই মাসের শুরুতেই তারা এই ধরনের ম্যালওয়্যারের গতিবিধি সম্পর্কে আলোকপাত করে। সেই সময় এনওসও হোয়াটসঅ্যাপের ওপর জিরোক্লিক প্রয়োগ করেছিল। সেই সময় হোয়াটসঅ্যাপের প্রায় ১৪০০ ইউজারের ওপর জিরোক্লিক ম্যালওয়্যার প্রয়োগ করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ল্যাবের আধিকারিক এবং টেকনোলজিস্ট ডোনচা শেয়ারবেল জানিয়েছেন যে, এই জিরোক্লিক ম্যালওয়ারের কার্যকলাপ অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে।