সূত্রের খবর, ওয়ালেটমোর (Walletmor) নামে ব্রিটেন ও পোল্যান্ডের ওই সংস্থাটি এক ধরনের চিপ বানাচ্ছে। সেই চিপ নিজের হাতে ইমপ্ল্যান্ট করে বা বসিয়েই বিল মেটানো সম্ভব হবে। এর জন্য কোনও রকম ব্যাঙ্কিং কার্ডের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র হাতটিকে কনট্যাক্টলেস সোয়াইপ মেশিনের কাছে নিয়ে গেলেই কেল্লা ফতে! ওই সংস্থার দাবি, তারাই প্রথম কোম্পানি, যারা এই ধরনের চিপ প্রথম বাজারে আনতে চলছে।
advertisement
ওয়ালেটমোর সংস্থার সিইও ওয়জটেক পাপ্রোতা বলেন, “রিও-র সৈকতে পানীয়র বিল মেটানো থেকে শুরু করে নিউ ইয়র্কে এক কাপ কফির বিল মেটানো, কিংবা প্যারিসের কোনও সালঁয় চুল কাটার পরে অথবা যে কোনও স্টোরে বিল মেটাতেও এই চিপ ব্যবহার করা যাবে।”
আরও পড়ুন - iPhone-এ নয়া কৌশলে লক করুন হোয়াটসঅ্যাপ, কেউ দেখতে পাবে না চ্যাট
সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই এই আধুনিক প্রযুক্তির নানা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। এমনকী এটা হাতের চামড়ার নিচে কীভাবে বসানো হবে, সেই বিষয়টাও ছবি আর ভিডিওর মাধ্যমে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, যাঁরা এই প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী থাকবেন, তাঁদের হাতে চিপ বসানোর জন্য প্রথমে অ্যানাস্থেশিয়া করা হবে। তার পরেই ব্যবহারকারীর হাতে চিপটি বসানো হবে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে মাইক্রোচিপ হাতে বসানোর ক্ষেত্রে তো হাতে ব্যথা হবে? চিপ ব্যবহারকারীরা কিন্তু আশ্বস্ত করে বলছেন, এক্ষেত্রে ব্যথা ততটা হবে না। কেউ চিমটি কাটলে যেরকম অনুভূতি হয়, ঠিক সেরকমই ব্যথা হবে চিপটি হাতের চামড়ার নিচে ইমপ্ল্যান্ট করার সময়।
চিপের সম্পর্কে সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, এই চিপটির ওজন এক গ্রামেরও কম। আর আকারে এটি একটা চালের থেকে সামান্য বড় মাপের হয়। এই চিপের মধ্যে থাকে একটা ছোট্ট মাইক্রোচিপ এবং একটি অ্যান্টেনা। আর এই অ্যান্টেনাটি বায়োপলিমার দ্বারা আবৃত করা থাকে। কোম্পানির সিইও-র দাবি, এই চিপ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এটা নিয়ন্ত্রকদের থেকে ছাড়পত্রও পেয়েছে। তিনি আরও জানান যে, চিপে ব্যবহার করা হয় নিয়ার-ফিল্ড কমিউনিকেশন বা এনএফসি। আর এই প্রযুক্তিই বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে স্মার্টফোনেও। ইতিমধ্যেই পাঁচশোরও বেশি মাইক্রোচিপ বিক্রি করেছে ওয়ালেটমোর।
আরও পড়ুন - যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে স্মার্টফোনে ! ভুলেও এই কাজ করবেন না ! জানুন
কিন্তু কী বলছেন এই মাইক্রোচিপ ব্যবহারকারীরা? আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়ালেটমোর-এর চিপের প্রশংসা করছেন বহু মানুষ। এই উদ্যোগ ধীরে ধীরে পছন্দও করছে মানুষ। প্যাট্রিক পাওমেন নামে নেদারল্যান্ডের এক নিরাপত্তারক্ষী নিজের হাতে এমন পেমেন্ট চিপ বসিয়েছেন সেই ২০১৯ সালে। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান যে, কোথাও বিল মেটানোর সময় তিনি চিপ ব্যবহার করলে হিসাবরক্ষকরা না কি যারপরনাই অবাক হয়ে যান!