২০২২ সালে এই সব গোষ্ঠীর কার্যকলাপ আরও বেড়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহেই অসমে অয়েল ইন্ডিয়া (Oil India)-এর সিস্টেমে সাইবার অ্যাটাক করা হয়। দেখা গিয়েছে, সেটি রাশিয়ার ম্যালওয়ার। কিন্তু তার সার্ভার নাইজেরিয়ার। অসম সরকারের অধীন এই তৈল উৎপাদনকারী সংস্থা এই মুহূর্তে নানা ধরনের হানাদারির লক্ষ্য। আসমের দুলিয়াজানে অবস্থিত অয়েল ইন্ডিয়ার প্রধান কার্যালয়ে সব থেকে বড় হানাদারিটি চালানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এরপর হ্যাকাররা প্রায় ৭৫,০০,০০০ ডলার দাবি করে।
advertisement
আরও পড়ুন - এবার Instagram-এ পিন করে রাখা যাবে পোস্ট, আসছে নতুন ফিচার
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ২০২১ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এই ধরনের সাইবার হানাদারি বেড়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ। সাইবার অপরাধীদের প্রথম পছন্দ হল বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সংস্থা (হেলথকেয়ার)গুলি। এ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন ধরনের পরিবহণ, জাহাজ, উৎপাদন শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এদের নজর থাকে।
সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি ট্রেলিক্সের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার এবং মূখ্য বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান বিক (Christiaan Beek) জানিয়েছেন যে, ‘আমরা লক্ষ করেছি ক্রমাগত হারে বেড়ে চলেছে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অ্যাটাক। আর এ সব করা হচ্ছে র্যানসামওয়্যার অ্যাটাকের মাধ্যমে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা লকডাউনের ফলেই সাইবার অপরাধীদের এত বাড় বাড়ন্ত। লকডাউনে অনলাইন কাজের হার বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অ্যাটাকের ঘটনা।
আরও পড়ুন - এই ১০টি সুপার কুল গ্যাজেট আছে? আপনার সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হবে গরম
সাইবার অপরাধীদের নজরে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্র। এর মধ্যে জাহাজ ও পরিবহণ ক্ষেত্রের উপর লক্ষ্য রয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রায় ১২ শতাংশ এবং তথ্য প্রযুক্তির উপরে ৩৬ শতাংশ লক্ষ্য রেখেছে অপরাধীরা। এই সমস্ত সাইবার অ্যাটাকের মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় ম্যালওয়ার টেকনিক। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের র্যাানসামওয়্যার অ্যাটাকের মাধ্যমে চালানো হয় সাইবার অ্যাটাক। যা বেড়ে চলেছে ক্রমাগত হারে।