‘ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম’ বা বিএনসিপি হল ‘ক্র্যাশ টেস্টিং’ ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে কোনও দুর্ঘটনায় গাড়ি এবং চালকের নিরাপত্তা মাপা হবে। গাড়িগুলিকে দেওয়া হবে ১ থেকে ৫ স্টার রেটিং। যে গাড়িগুলির রেটিং বেশি হবে সেগুলিকেই নিরাপদ গাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রক।
advertisement
কীভাবে কাজ করবে বিএনসিপি? এই কর্মসূচির অধীনে গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ক্র্যাশ টেস্টিং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করা হবে। যাতে নতুন গাড়ির মডেলে নিরাপত্তার দিকেও শ্যেণ দৃষ্টি রাখা যায়। অ্যাকটিভ এবং প্যাসিভ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট-সহ শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই হবে এর মূল লক্ষ্য। বর্তমানে গ্লোবাল এনসিএপি চালু আছে। যার মাধ্যমে গাড়ির ক্র্যাশ টেস্টিং করা হয়। বিএনসিপি সেই মডেলকেই অনুসরণ করবে।
আরও পড়ুন: দেশে জ্বালানি তেল ফুরাচ্ছে, বাড়ন্ত কেরোসিন, চলে যাচ্ছে চোরা কারবারিদের কাছে!
সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পরিবহণ মন্ত্রক। সেখানে যাত্রীবাহী চার চাকা গাড়িগুলির জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষা বৈশিষ্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। জানানো হয়েছে ২০১৯-এর ১ জুলাইয়ের পর তৈরি গাড়িতে ৮টির বেশি আসন রাখা যাবে না। পাশাপাশি চালকের জন্য এয়ারব্যাগ, সিট বেল্ট রিমাইন্ডার, ম্যানুয়াল ওভার-রাইড, সিস্টেম অ্যালার্ট সিস্টেম এবং গাড়ির রিভার্স গিয়ার সেন্সরের মতো নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড়লোক হয়ে গিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, কী এই জিলিকা ক্রিপ্টো?
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে পথ দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতি বছর এক-দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। এই তথ্য দেখিয়ে গড়করি বলেন, ভারতে প্রতি বছর ৫ লক্ষ পথ দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মৃত্যু হয় দেড় লাখ মানুষের’। ভারতে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতি জিডিপির ৩ শতাংশের সমান। এটা অবশ্য আর্থিক ক্ষতির হিসাবমাত্র, দুর্ঘটনায় হতাহতের ক্ষতি অপূরণীয়, বিশেষ করে দরিদ্র দেশের গরিব মানুষের পক্ষে। দুর্ঘটনায় নিহতদের শতকরা নব্বই ভাগই পুরুষ। সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের অর্ধেকই ১৫-৩৪ বছরের।
তথ্য বলছে, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও ঝুঁকিপূর্ণ যান চালানোর কারণেই প্রায় আশি শতাংশ পথ দুর্ঘটনা ঘটে। চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে ৫৬ শতাংশ। গাড়ি চালানো সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও ড্রাইভারের অসতর্কতার কারণে এখন প্রায় বারো শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে।