ইলেকট্রনিক্স এবং আইটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন যে, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ছাড়া তৃতীয় কোনও অপারেটিং সিস্টেম নেই। এর জন্য ভারত সরকার জোর দিতে চলেছে দেশি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার জন্য। এর জন্য একটি পলিসি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর তার জন্য ভারতের বিভিন্ন স্টার্ট-আপ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। ভারতের নিজস্ব একটি অপারেটিং সিস্টেম ব্র্যান্ড গড়ে তোলাই হল প্রধান লক্ষ্য।
advertisement
ইলেকট্রনিক্স এবং আইটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন যে, ভারতের ফোনের বাজার খুব বড়। বিভিন্ন ধরনের বিদেশি কোম্পানি ভারতের বাজারে ব্যবসা করে চলেছে এই বড় বাজারের উপর ভিত্তি করে। ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতের ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ক্ষমতা ৩০০ বিলিয়ন ইউএসডিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখন এর পরিমাণ হল প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ইউএসডি। ভারতের এই বৃহৎ বাজারের দিকে তাকিয়ে একটি ভারতীয় অপারেটিং সিস্টেমের খুব প্রয়োজন। ভারতে একটি দেশি অপারেটিং সিস্টেম লঞ্চ করা হলে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের একচেটিয়া আধিপত্য কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন - COVID-19 Test Mail Scam: কোভিড পরীক্ষার মেল থেকে সাবধান, হয়ে যেতে পারেন সর্বস্বান্তও
ব্রাটা থেকে বাঁচার উপায় -
ভারতে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় কোম্পানি তাদের বিভিন্ন ধরনের ফোন লঞ্চ করে থাকে। সেই সকল ফোনের ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। ভারতের বাজারে আইফোনের চাহিদাও বেশ ভালো, যা আইওএস অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা চালিত। এর ফলে ভারতের নিজস্ব একটি অপারেটিং সিস্টেম চালু করা গেলে, মেড ইন ইন্ডিয়া ফোনের আধিপত্য বিস্তার করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ভারতের ফোনের বাজারের অনেকটা জুড়েই রয়েছে বিদেশি কোম্পানির ফোন। তাই দেশি অপারেটিং সিস্টেম বাজারে এলে তার মাধ্যমেই দখল করা যেতে পারে এই বাজার।