অবশ্য অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার আমাদের ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে, এছাড়াও এমন কিছু উপায় রয়েছে যা আমাদের প্রতারণামূলক ওয়েবসাইটগুলির শিকার হওয়া থেকেও আটকাতে পারে৷(Easy Ways to Safeguard Yourself Against Fake Websites)
ডোমেইনের নাম দেখা: ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় যদি কোনও ওয়েবসাইটে রিডাইরেক্ট করা হয়, তাহলে ডোমেন নাম চেক করার আগে কোনও লিঙ্ক ক্লিক করা যাবে না। প্রতারকরা প্রায়ই অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো জনপ্রিয় সাইটের অ্যাড্রেসের মতো অ্যাড্রেস তৈরি করে। তবে ভালো করে দেখলে নামের মধ্যে সর্বদা সামান্য পার্থক্য লক্ষিত হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - আইফোন ইউজারদের জন্য অ্যাপল তৈরি করেছে ওটিপি, জেনে নিন বিশদে!
নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা: অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় বা চেক আউট করার সময় সবসময় একটি নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সে ক্ষেত্রে Paypal, Paytm এবং Razorpay-এর মতো বিশ্বস্ত গেটওয়েগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যাড্রেস বার: ওয়েব সার্ফ করার সময় পেজের শীর্ষে থাকা 'https://' দেখতে হবে। এখানে 'S' নির্দেশ করে যে ওয়েবসাইটটি সুরক্ষিত এবং ডেটা স্থানান্তরের জন্য এনক্রিপশন ব্যবহার করে।
স্ক্যান করা: বিভিন্ন ওয়েবসাইটের স্ক্যানার রয়েছে যা নিশ্চিত করে যে আমারা যে ওয়েবসাইটটি দেখতে চাইছি সেটি নিরাপদ কিনা। এই টুলগুলি যেমন UpGuard, SiteGuarding এবং Quttera জাল ওয়েবসাইট সনাক্ত করতে স্ক্যান করে৷ এই সফ্টওয়্যারগুলির মাধ্যমে সাইট চালানো আমাদের জন্য নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর প্রদান করতে পারে।
আরও পড়ুন - কখন ফেসবুক মেসেঞ্জারে স্ক্রিনশট নিলে হতে পারে বিপদ, সতর্ক করলেন জুকারবার্গ
লক দেখে নেওয়া: আমরা যদি ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস ঘনিষ্ঠভাবে দেখি তবে একটি প্যাডলক আইকন (padlock icon) লক্ষ্য করবো। আইকনটি প্রযুক্তিগতভাবে দেখায় যে সাইটটি একটি TLS/SSL শংসাপত্র দ্বারা সুরক্ষিত হয়েছে৷ দ্বিগুণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য, কেউ লকটিতে ক্লিক করে এবং তারপরে ‘Connection is secure’-এ ক্লিক করতে পারেন।