এইচপি ট্রেড রিসার্চ টিমের তরফের জানানো হয়েছে যে, হ্যাকাররা এই ক্ষেত্রে খুবই ধূর্ত এক টেকনিক ব্যবহার করছে। তারা ইউজারদের মেমোরিতে এই ধরনের র্যানসামওয়ার চালিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে উইন্ডোজের ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও তারা ব্যবহার করছে বাইপাসিং ডিটেকশন টেকনিক। খুব বড় ধরনের ক্ষতি করার জন্য ম্যাগনিবার ব্যবহার করা না হলেও, তারা নির্দিষ্টভাবে ড্যামেজ করছে ইউজারদের ডিভাইস।
advertisement
আরও পড়ুন - Facebook-এ এই ভুলগুলি কখনও করেননি তো? সাবধান হন, নয় তো হাজত বাস পাক্কা
সিকিউরিটি রিসার্চাররা লক্ষ্য করে দেখেছে যে, যে সকল ইউজার বাড়িতে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাঁদের ওপরেই বেশি করে টার্গেট করা হচ্ছে। এই ধরনের টার্গেট করা হচ্ছে মূলত ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে যা অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন এবং ইউএসি বাইপাসের মাধ্যমে করা হচ্ছে। এই ইউএসি বাইপাসের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ডিভাইজের শ্যাডো কপি ফাইল এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যাকআপ ও রিকভারি ফিচার ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সেই ইউজাররা তাদের ডেটা রিকভার করার জন্য বাধ্য হচ্ছেন উইন্ডোজ টুলস ব্যবহার করতে।
এরপরই ইউজারদের কাছে ফেক Windows 10 এবং অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপডেট পাঠানো হয়। ইউজাররা একবার সেটি ডাউনলোড করলে খুব সহজেই হ্যাকারদের আয়ত্তে চলে যায় সেই ডিভাইস। তাহলে বাঁচার উপায়? এইচপি সিকিউরিটি টিম জানিয়েছে, যে সকল ইউজার বাড়িতে ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাঁদের এই ধরনের সফটওয়্যার আপডেট ডাউনলোড করা উচিত নয়। সুরক্ষিত এবং বিশ্বাসযোগ্য সোর্স ছাড়া অন্য কোথাও থেকে এই ধরনের সফটওয়্যার আপডেট করা উচিত নয়। এছাড়াও প্রতিদিন নিজেদের ডেটার ব্যাকআপ রাখতে হবে।