সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন উপায়ে এই সময়ে গ্রাহকদের ক্ষতি করতে পারে। ফিশিং স্ক্যাম, ম্যালওয়্যার এবং বটনেটের মতো কৌশলগুলির সাহায্যে হ্যাকাররা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করতে পারে। তাই অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় সেই ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না তা জানতে কাজে লাগবে এই ১০টি উপায়।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য ছিল ভারতের আগে চাঁদের মাটি স্পর্শের, শেষ রক্ষা হল না! থমকে গেল রাশিয়ার লুনা-২৫
advertisement
১) SSL সার্টিফিকেট চেক –
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করায় অনেকেই সম্ভবত HTTPS শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু, এর অর্থ এবং HTTP থেকে এর পার্থক্য সম্পর্কে নিশ্চিত নন। কেউ যদি শুধুমাত্র একটি URL-এর মধ্যে HTTP দেখতে পান, তাহলে জানা উচিত যে ওয়েবসাইটটি এনক্রিপ্ট করা নেই অর্থাৎ নিজেদের কার্যকলাপ অনলাইন হ্যাকারদের কাছে দৃশ্যমান হতে পারে। মূলত HTTPS হল একটি SSL সার্টিফিকেট দ্বারা প্রদত্ত একটি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, যা একটি URL এর অংশ এবং সেই ওয়েবসাইটকে এনক্রিপ্ট করে।
২) ডোমেন চেক –
সবসময় URL দুবার চেক করা উচিত। অর্থাৎ যে ওয়েবসাইট খোলা হবে তার ডোমেন আগে ভাল করে চেক করে নেওয়া প্রয়োজন। প্রায়শই একজন সাইবার অপরাধী একটি ক্ষতিকর ওয়েবসাইট এবং URL তৈরি করে, যা গ্রাহকদের প্রতারণা করার জন্য প্রস্তুত থাকে।
৩) প্রাইভেসি পলিসি সার্চ –
সবার প্রথমেই যে কোনও ওয়েবসাইটের প্রাইভেসি পলিসি সার্চ করে তা ভাল করে দেখে নেওয়া প্রয়োজন। এটি গ্রাহকদের সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করবে যে, নিজেদের ডেটা কীভাবে এবং কোথায় স্টোর করা হয়।
৪) ওয়েবসাইট ডিজাইন অ্যানালাইজ –
সাইবার অপরাধীরা প্রায়শই অল্প সময়ের মধ্যে অনিরাপদ ওয়েবসাইটগুলিকে হ্যাক করে। এর জন্য যে কোনও ওয়েবসাইটের ডিজাইন অ্যানালাইজ করা প্রয়োজন। একটু সন্দেহ হলেই, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
৫) মালিকানা ভেরিফাই –
একটি ওয়েবসাইটের মালিকানা ভেরিফাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Whois Lookup-এর সাহায্যে, গ্রাহকরা যে ওয়েবসাইটে আছেন, সেটির মালিক, ব্যক্তি বা নাম খুঁজে পেতে পারেন। যদি কোনও যোগাযোগের তথ্য উপস্থিত না থাকে, তাহলে সেটি উদ্বেগের বিষয়।
৬) যোগাযোগের তথ্য –
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ৪৪% ওয়েবসাইট ভিজিটর একটি ওয়েবসাইট ছেড়ে চলে যান, যদি কোনও যোগাযোগের তথ্য দেওয়া না থাকে। তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৭) ট্রাস্ট সিল সনাক্ত করা –
একটি ওয়েবসাইট নিরাপদ কি না তা জানতে ট্রাস্ট সিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ট্রাস্ট সিল হল ওয়েবপৃষ্ঠার শীর্ষে একটি URL এর পাশে অবস্থিত “Secure” বা “Verified” আইকন৷
8) রিভিউ –
যে কোনও ওয়েবসাইটের রিভিউ এবং রেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবার আগে এই রিভিউ দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
৯) সাইবার সিকিউরিটি টুলস –
অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করা থাকলেও, ইউজারদের জানা উচিত অন্যান্য সিকিউরিটি টুলস রয়েছে কি না যা তাঁদের সিস্টেমকে ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যার থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০) অসুরক্ষিত ওয়েবসাইটের লক্ষণ –
এই লক্ষণগুলি দেখলেই বোঝা যায়, সেই ওয়েবসাইট অসুরক্ষিত – সার্চ ইঞ্জিন সতর্কতা, স্প্যাম, রিডাইরেক্ট, পপআপ ইত্যাদি।