জানা গিয়েছে, একই চাবি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করার কারণেই তা ক্ষয় হতে শুরু করে। ফলে বাইকের তালা নষ্ট হয়ে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগায় দুস্কৃতীরা। তবে মোটরবাইক চুরি রুখতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। মোটরবাইকের নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ ফিচার আনার কথা ভাবছে বিভিন্ন সংস্থা। এর বাইরে কয়েকটি পদক্ষেপ করতে পারলেই অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর যুক্ত করা যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন- অবাক কান্ড ! গাড়ি নয়, শেষ পর্যন্ত রিক্সা চালিয়ে বিধানসভায় পৌঁছালেন তৃণমূল বিধায়ক!
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সব থেকে কার্যকর হতে পারে অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যালার্ম। সাধারণ গাড়ির অ্যালার্মের থেকে এগুলি আলাদা হতে পারে। মোটরবাইক চুরি হলে এই অ্যালার্ম তার মালিককে সতর্ক করার চেষ্টা করতে পারে। তবে হ্যাঁ, ওই অ্যালার্মের সেনসিটিভিটি যেন ভাল ভাবে টিউন করা থাকে। অনলাইন বা অফলাইনে এই অ্যালার্ম কেনা যেতে পারে।
একইভাবে নিজের মোটরবাইকে একটি ‘কিল স্যুইচ’ ইনস্টল করা যেতে পারে। আধুনিক মোটরবাইকে এই ফিচার থাকে। এই স্যুইচ দেওয়া থাকলে মোটরবাইক চালু করাই যাবে না, কারণ স্পার্ক প্লাগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছতেই পারবে না।
বিল্ট-ইন লকের পাশাপাশি অন্তত দু’টি তালা ব্যবহার করা উচিত। তাতে খুব সহজেই মোটরবাইক চুরি আটকানো যেতে পারে। হ্যান্ডল লক, ডিস্ক ব্রেক লক, ইগনিশন লক এবং ফোর্ক লক খুবই কার্যকরী হতে পারে।
আরও পড়ুন- ভাত না হলেও চলবে, সকাল-সন্ধে এটা চাই-ই চাই, রোজ খেলে শরীরে কী হয়? জানলে অবাক হবেন
এছাড়াও নিজের মোটরবাইক নিরাপদ জায়গায় রাখা উচিত। কোনও ভারী বস্তুর সঙ্গে মোটরবাইক লক করে রাখা যেতে পারে। মোটা শিকল বা তারের সঙ্গে প্যাডলক করে রাখে যেতে পারে। আলাদা করে কোনও তালা লাগালে তার মজবুতির দিকে নজর দিতে হবে। যাতে সেটা সহজে ভাঙা না যায়। বিশেষত খেয়াল রাখতে হবে যেন ওই তালা কোনওভাবেই মাটির সঙ্গে লেগে না থাকে। তাহলে চোরের সুবিধা হবে তা সহজে ভাঙতে। তবে এই কিছু জিনিস নিয়ম মানলেই আপনার মটর বাইক থাকবে সুরক্ষিত।
কৌশিক অধিকারী