ফলে কী ভাবে নিজের ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত রাখা যায়, তা জেনে রাখা খুবই দরকারি।
১. অরিজিনাল অ্যাপ—
জালিয়াতরা বেশিরভাগ সময়ই অ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকিং করে থাকে। সে জন্য সব সময় শুধুমাত্র Google Play Store থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা প্রয়োজন। অথবা, কোনও সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় অ্যাপ ডেভেলপারের নাম দেখে নেওয়াও জরুরি। সতর্ক ভাবে সংস্থার আসল এবং অফিসিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। বিশেষত ব্যাঙ্কিং অ্যাপ।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার হাতের স্মার্টফোনে কতগুলো সেন্সর একসঙ্গে কাজ করে জানেন?
২. অ্যাপ ইনস্টলেশনের আগে—
যে কোনও অ্যাপ ইনস্টল করার আগে অ্যাপ কোন কোন বিষয় অ্যাক্সেস করার অনুমতি চাইছে তা আগে ভাল করে পড়ে নেওয়া দরকার। কোনও অ্যাপ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অনুমতি চাইলে সেই অ্যাপ ইনস্টল না করাই ভাল।
৩. ফাইল সুরক্ষিত রাখা—
মোবাইল ফোনে অনেক ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও এবং ডকুমেন্ট থেকেই যায়। সে সবের জন্য পৃথক সুরক্ষা প্রয়োজন৷ সেগুলি আলাদাভাবে লক করে রাখা যায়। যাতে ফোনটি অন্য ব্যক্তির হাতে পড়লেও তিনি গোপনীয় ফাইলগুলি দেখতে না পান।
আরও পড়ুন - পুরুষের পর্দাফাঁস! Facebook-এর এই গ্রুপে ‘ডার্টি সিক্রেট চালাচালি’ করেন মেয়েরা
৪. ফোন এবং অ্যাপের সুরক্ষা—
নিজের ফোন এবং অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করা দরকার। এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন প্রায়ই আসে। আমরা অনেক সময়ই তা উপেক্ষা করে থাকি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। সব সময় আপডেটেড সিস্টেমই ব্যবহার করা প্রয়োজন।
৫. এনক্রিপশন ব্যবহার—
এনক্রিপশন এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে নিজেদের বার্তা সুরক্ষিত রাখা যায়। এর সাহায্যে যদি গ্রাহক কাউকে একটি বার্তা পাঠান তবে তিনি এবং প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ সেই বার্তা পড়তে পারবেন না। ফলে এনক্রিপশন ব্যবহার করা জরুরি।
৬. পাবলিক ওয়াইফাই—
সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট পেতে কে না চায়। তাই আমরা অনেক সময়ই বিনামূল্য ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক পেলে সঙ্গে সঙ্গে তার সঙ্গে ফোন সংযু্ক্ত করে ফেলি। নেট ঘাঁটতেও শুরু করে দিই। এতে নিমেষেরে মধ্যে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা তলানিতে পৌঁছে যেতে পারে। ফলে বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন।