সূত্রের দাবি, এ ধরনের ম্যালওয়্যার কোনও ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবায় করা ফোন কলের মতো করে ফোন করে। তারপর তা স্পাইওয়্যারের মতো করে কাজ করতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, এরা দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু স্থানীয় ব্যাঙ্কের ইন্টারফেস ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই কিছু নাগরিককে ফাঁসিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে ট্রোজান ম্যালওয়্যার আক্রমণ করেছে কোরিয়ার কিছু জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক যেমন কুকমিন বা কাকাও ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের।
advertisement
কী ভাবে কাজ করে এই দুষ্টচক্র?
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, একবার ফোনে এই ম্যালওয়্যার ঢুকে গেলে তা আসল ফোন কল বন্ধ করে নিজের ফোন কল চালু করে দিতে পারে। গ্রাহক কোনও ভাবেই তা বুঝতে পারবেন না, কারণ ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে তাঁর ফোনে যে নম্বর দেখানো হবে তা সঠিক।
আরও পড়ুন - এক রিচার্জেই চলবে ফোন, টিভি, কম্পিউটার, এমনই অফার আনল Airtel Black
আরও পড়ুন - Whatsapp-এ ফাইল আপলোড করলে দেখা যাবে ETA, আসছে নতুন ফিচার
এক বার কোনও গ্রাহক ব্যাঙ্কের হট লাইন নম্বরে ফোন করলে ট্রোজান সেই লাইন কেটে দেবে, সেই সঙ্গে নিজের ফোন কল জুড়ে দেবে। সেই ফোন জুড়ে যাবে সাইবার অপরাধীদের কাছে। ট্রোজান ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে ফেক কল হলেও স্ক্রিন জুড়ে দেখা যাবে ব্যাঙ্কের আসল ফোন নম্বরই।
প্রথমত, ফেক কলিং অ্যাপটিও দেখতে একেবারে আসল ব্যাঙ্কিং অ্যাপের মতো। এমনকী সেই অ্যাপে সাইবার অপরাধীরা সাজিয়ে রাখে ব্যাঙ্কের আসল হট লাইন নম্বরও। একবার সেই সব অ্যাপ ফোনে ডাউনলোড করলে তারা গ্রাহকের ফোনের ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, জিওলোকেশন, কল হ্যান্ডলিং, কন্ট্যাক্ট-সহ সব বিষয়ের অ্যাকসেস চেয়ে বসবে। তাতে রাজি হয়ে গেলেই ফোনের ভিতর জাঁকিয়ে বসবে ভাইরাস। বাইরে থেকে প্রায় কিছুই বোঝা যাবে না। কিন্তু আপনার কাছে যে সব ফোন কল আসবে তা নিজে থেকেই কেটে দেবে ট্রোজান। এমনকী তার চিহ্নও ফোনের History-থেকেও মুছে ফেলবে নিজেই। বদলে নিজেদের কল জুড়ে দেবে আপনার ফোনে। যা সরাসরি পৌঁছে যাবে অপরাধীদের কাছে।
শুধু কল নকল করাই নয়, ট্রোজান দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাঙ্কগুলির লোগো এবং অন্য সমস্ত তথ্য জালিয়াতি করে সাজিয়ে রেখেছে নিজেদের অ্যাপ।