WhatsApp Brings Out ETA Feature: এ বার হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ফাইল পাঠাতে চাইলে সেটি আপলোড হতে কত সময় লাগবে, তা দেখানো হবে। এমনই পরিবর্তন আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে অনেকটা সময় নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচবে বলে মনে করছেন ব্যবহারকারীরাও। তবে এই ETA (Estimated time of arrival) ফিচার পাওয়া যাবে শুধু বিটা সংস্করণে।
WhatsApp ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক মেসেজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার নিয়ে কাজ করছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মেসেজ রি-অ্যাকশন, যা এ বছরের শেষের দিকে অ্যাপে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তেমনই আসতে চলেছে ‘গ্রুপ পোল’ ফিচারও। Meta অধীনস্থ মেসেজিং অ্যাপ Whatsapp ব্যবহারকারীদের গ্রুপের ভিতর পোল তৈরি করার অনুমতি দেওয়ার একটি বিশেষ উপায় নিয়ে ভাবনা চিন্তা চালাচ্ছে।
এর পাশাপাশি আশা করা হচ্ছে ব্যবহারকারীরা শীঘ্রই 2GB পর্যন্ত আকারের বড় ফাইল পাঠাতে পারবেন চ্যাটের মাধ্যমেই। এর বাইরেও Android এবং iOS-এর বিটা সংস্করণে একটি নতুন ফিচার আসছে—ETA (Estimated time of arrival)। এই ফিচারের মাধ্যমে যে কোনও ব্যবহারকারীর ডকুমেন্ট শেয়ারিং-এর অভিজ্ঞতা আরও ভাল হবে বলে দাবি করেছে সংস্থা।
WaBetaInfo-র তরফে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে WhatsApp এ বার থেকে কোনও ফাইল বা ডকুমেন্ট-এর ক্ষেত্রে ডাউনলোড বা আপলোড করার আনুমানিক সময় দেখাবে। অর্থাৎ কোনও ফাইল পাঠানোর সময় তা কখন আপলোড হচ্ছে, আদৌ হচ্ছে কি না তা জানার জন্য আর তাকিয়ে বসে থাকার প্রয়োজন হবে না। বরং একগুচ্ছ ফাইল পাঠাতে সুবিধা হবে। আনুমানিক কত ক্ষণ লাগতে পারে ওই ফাইলগুলি আপলোড হতে তা দেখিয়ে দেবে অ্যাপই।
বড় ফাইল বা ভিডিও শেয়ার করার সময় এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই ব্যবস্থা এখন রয়েছে iOS, Android এবং WhatsApp-এর ডেস্কটপ বিটা সংস্করণের জন্য। যাঁরা অ্যাপের বিটা প্রোগ্রামে সাইন আপ করেছেন তাঁরা অবিলম্বে পরিবর্তনটি লক্ষ্য করবেন কারণ প্ল্যাটফর্মটি ইতিমধ্যে এই ফিচার প্রকাশ করা শুরু করেছে।
এ ছাড়াও, হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার নিয়ে কাজ করছে। সেটি কার্যকর হয়ে গেলে 2GB ফাইল শেয়ারিং নিয়ে অনেকটা সুরাহা হবে।
ইতিমধ্যেই ‘টেলিগ্রাম’-এর মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে এই সুবিধা রয়েছে। অথচ, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে সর্বাধিক ব্যবহৃত মেসেজিং অ্যাপগুলির অন্যতম। এর মাধ্যমে ফটো, ভিডিওর পাশাপাশি নানা ধরনের Doc ফাইলগুলি আদান-প্রদান করেন ব্যবহারকারীরা। এখন 100MB পর্যন্ত ফাইল পাঠানো যায় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। এই সীমা বাড়ানো নিয়ে এখনও চিন্তাভাবনা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুধু বড় ফাইল পাঠানোই নয়।
হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করছে ছবি আপলোডের সময় তার গুণমান ঠিক রাখার বিষয়েও। এখন হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে এটা সব থেকে বড় অভিযোগ যে তারা স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফাইলের আকার কমিয়ে দেয়, তাতে ছবি বা ভিডিও-র গুণমান নষ্ট হয়। এ বার তিনটি অপশন বেছে নিতে দেওয়া হবে ব্যবহারকারীকে – অটো (auto), বেস্ট কোয়ালিটি (best quality) এবং ডেটা সেভার (data saver)।