আসলে কেন্দ্রীয় সরকার ৫জি ফোনের (5G smartphone) জন্য নিয়ে এক নতুন নিয়ম প্রণয়ন করতে চাইছে। তার ফলে দেশের টেলিকম সংস্থাগুলিও ৫জি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে। ভারত সরকার (Indian Government) জানিয়েছে যে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে যে সকল ৫জি ফোন লঞ্চ করা হবে তাদের প্রথমেই ‘লোকাল টেস্টিং’ এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করলেই ভারতের বাজারে লঞ্চ করা যাবে ৫জি ফোন। ভারতের টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার সম্প্রতি এক মিটিং করে এই নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর ফলে ভারতে ৫জি ফোনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে (5G Smartphones In India May See A Shortage)।
advertisement
৫জি ফোনের ঘাটতির কারণ -
সেলুলার অ্যাসোসিয়েসন অব ইন্ডিয়া সতর্কতা জারি করে বলেছে যে, এ দেশে যে সব ৫জি ফোন চালু করা হবে তার জন্য লোকাল টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক। বিদেশী যে সব ৫জি ফোন ভারতে লঞ্চ করা হবে তাদেরও প্রথমে সেই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই ভারতের বাজারে বিক্রি করা যাবে সেই ৫জি ফোন। এর ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ভারতে ঘাটতি দেখা দিতে পারে ৫জি ফোনের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন - আধার কার্ডের সাহায্যে মিলবে অনলাইন ই-প্যান কার্ড, জেনে নিন উপায়
সরকারি নিয়ম -
ভারত সরকারের তরফে জারি করা হয়েছে ৫ ধরনের টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই ভারতে চালু হয়ে যাবে এই প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৫জি ফোনের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করলেই দেওয়া হবে সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট পেলেই ভারতের বাজারে বিক্রি করা যাবে সেই ৫জি ফোন।
টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া -
ভারতের বাজারে ৫জি ফোন বিক্রি করার আগে স্থানীয় ভাবে তা পরীক্ষা করা হবে। ৫জি ফোন ছাড়াও স্মার্টওয়াচ, ক্যামেরা এবং অন্যান্য কয়েকটি ইলেকট্রনিক দ্রব্য ভারতে বিক্রি করার আগে তা স্থানীয় ভাবে পরীক্ষা করাতে হবে। এরপর তাদের দেওয়া হবে ভারতের ‘লোকাল টেস্টিং সার্টিফিকেট’। ছাড়পত্র হাতে পেলে তবেই ভারতের বাজারে বিক্রি করা যাবে সেই সকল জিনিস।
টেলিকম অপারেটরদের মতামত -
বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানি জানিয়েছে যে এর ফলে ভারতে ৫জি পরিষেবা কিছুটা হলেও থমকে যেতে পারে। একই সঙ্গে ভারতের বাজারে ৫জি ফোনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।