প্রাথমিক ভাবে জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের লক্ষ্য করে এই কোম্পানি বাজারে এলেও শেষ পর্যন্ত ভারতেও এই প্রজেক্ট নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে।
Maruti তার নিজের প্যারেন্ট সংস্থা Suzuki-র সঙ্গে মিলে এই কপ্টার নির্মাণ করবে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই এয়ার কপ্টারগুলি ড্রোনের চেয়ে বড়। তবে প্রচলিত হেলিকপ্টারের তুলনায় ছোট হবে। যা পাইলট-সহ কমপক্ষে তিন জনকে বহন করতে সক্ষম।
advertisement
আরও পড়ুন- নতুন বাইক ৫০০ কিমি চালিয়ে ফেলেছেন? এখনই ‘এই’ কাজটা করুন, নাহলে পস্তাতে হবে
কোম্পানির লক্ষ্য, ভারতে সম্প্রসারণের আগে প্রাথমিক ভাবে জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রজেক্ট লঞ্চ করা। এই এয়ার ট্যাক্সিগুলি সম্ভাব্য পরিবহণ জগতে বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে। Maruti শুধুমাত্র বিক্রয়ের জন্য ভারতীয় বাজারের দিকে নজর রাখছে না, এটি খরচ কমাতে স্থানীয় ভাবে উৎপাদনের কথাও বিবেচনা করছে।
Suzuki মোটরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কেন্টো ওগুরা প্রকাশ করেছেন যে, অ্যাভিয়েশন নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ-র সঙ্গে তারা আলোচনামূলক স্তরে রয়েছে। স্কাইড্রাইভ নামে বৈদ্যুতিক এয়ার কপ্টারগুলি জাপানে ২০২৫ ওসাকা এক্সপো-তে চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মারুতি শেষ পর্যন্ত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের আওতায় ভারতে এই প্রযুক্তি চালু করতে চায়। কোম্পানি বর্তমানে সম্ভাব্য গ্রাহক এবং স্টেকহোল্ডারদের শনাক্ত করতে ভারতে মার্কেট রিসার্চ পরিচালনা করছে। এয়ার কপ্টার ভারতে সফল ভাবে লঞ্চ হওয়ার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের হতে হবে।
এটি কোথায় আলাদা?
টেক-অফের সময় ১.৪ টন ওজনের এয়ার কপ্টার একটি প্রচলিত হেলিকপ্টারের ওজনের প্রায় অর্ধেক। এটি হালকা ওজনের হওয়ায় এটি টেক-অফ এবং অবতরণের জন্য রুফটফ ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন- ফোনে ‘ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ’ দেয় কেন? একটি ক্যামেরা দিয়েই কিন্তু ছবি তোলা যায়
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, ইলেক্ট্রিফিকেশনের কারণে বিমানের যন্ত্রাংশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে উৎপাদন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম হয়েছে।