মেটা তিনটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিক। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী, মেটা-তে প্রায় ৭২,৪০০ জন কর্মী কাজ করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মধ্যে ৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হবে। মার্ক জুকেরবার্গ বলেছেন, ‘পারফরম্যান্সের মান বাড়াতে ‘লো পারফরর্মার’-দের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোম্পানিতে ‘প্রতিভাশালী কর্মীদের’ রাখতেই পরফরম্যান্স ভিত্তিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। সঙ্গে নতুন কর্মী নিয়োগ করাও এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
advertisement
বড় মার্কিন কোম্পানিগুলিতে এই ধরনের ছাঁটাই খুব সাধারণ। গত সপ্তাহে মাইক্রোসফটও এমন ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে। মোট কর্মী সংস্থার এক শতাংশ ছাঁটাই করা হবে টেক জায়ান্ট সংস্থায়। এমনটাই জানা গিয়েছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মেটায় যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, কিন্তু পারফরম্যান্সে বড়সড় ঘাটতি রয়ে গিয়েছে, তাঁদের উপরই মূলত ছাঁটাইয়ের কোপ নেমে আসতে চলেছে। তবে মেটা নিশ্চিত করেছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
সম্প্রতি, কোম্পানিতে ‘ইয়ার অফ এফিসিয়েন্সি’ নীতি চালু করেছেন মার্ক জুকেরবার্গ। এই উদ্যোগের আওতায় মেটা কাজের ধরণ এবং নীতিতে বড়সড় পরিবর্তন করেছে। যাতে খরচ কমানো যায় এবং কাজের প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই উদ্যোগের আওতায় গত এক বছরে মেটা বহু কর্মী ছাঁটাই করেছে, যাতে খরচ কমিয়ে লাভ বাড়ানো যায়। সঙ্গে কৌশল ও নীতিতেও কিছু পরিবর্তন করেছে। এই উদ্যোগের আওতাতেই এবারের ছাঁটাইও হবে। কয়েকদিন আগে কমেন্ট মডারেশন পলিসিতেও কিছু পরিবর্তন এনেছে মেটা। অভিবাসন এবং ট্রান্সজেন্ডার অধিকার সম্পর্কিত পোস্ট নিয়ে নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : এ বার বরাহনগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত দৌড়বে মেট্রো? সিদ্ধান্ত জানাবে যাদবপুর
পাশাপাশি মার্কিন মুলুকে থার্ড পার্টি ফ্যাক্ট চেকিং প্রোগ্রাম বন্ধের ঘোষণাও করেছে মেটা। এর ফলে সংস্থার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফেক নিউজ ছড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আগে কর্মস্থলে কর্মী বৈচিত্রের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালাত মেটা। বর্তমানে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর সামনে এল।