শুধু তা-ই নয়, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ইন্টারফেস পার্সনালাইজও করতে পারেন। তবে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অ্যাপল আইওএস ১৬ (Apple iOS 16)-এর নতুন লক স্ক্রিন বড়সড় আপডেট নিয়ে আসছে। আগামী দিনে শুধু এটা নিয়েই চর্চা করবেন ব্যবহারকারীরা।
বিভিন্ন ফন্ট এবং উইজেট দিয়ে লক স্ক্রিন কাস্টমাইজ করা যাবে:
কাস্টমাইজেশনের প্রথম ধাপে মিলছে বিভিন্ন রং এবং ফন্ট বেছে নেওয়ার বিকল্প। লক স্ক্রিনেও ঘড়ির জন্য বিভিন্ন রং এবং ফন্ট বেছে নেওয়া যাবে। এমনকী যোগ করা যাবে চারটি উইজেটও (Widgets) – একটা ঘড়ির উপরের দিকে, আর বাকি তিনটি নিচে। সেই সঙ্গে রাখা যাবে ব্যাটারি স্টেটাস, ক্যালেন্ডার ঘড়ি, সংবাদ, আবহাওয়া, ফিটনেস এমনকী স্টকও।
advertisement
আরও পড়ুন- অবাক হবেন লোকে কোন ইমোজি নিয়ে কী ভাবে জানলে
লক স্ক্রিন এবং হোম স্ক্রিনের ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা:
হ্যাঁ, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে এই ফিচার উপভোগ করছেন। তবে আইফোন (iPhone) ব্যবহারকারীরা এই ফিচারটার জন্য বহু দিন ধরেই অপেক্ষা করেছিলেন। সেই অপেক্ষার দিন শেষ, এখন থেকে আইফোন ব্যবহারকারীরা ওয়ালপেপার পেয়ার হিসাবে ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করতে বা হোম স্ক্রিন আলাদা ভাবে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। অর্থাৎ এখন থেকে আইফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ভিন্ন চেহারার হোম স্ক্রিন এবং লক স্ক্রিন থাকছে।
ওয়ালপেপার:
হাতে আইফোন এলে প্রথমেই যে কাজটা করা হয় সেটা হল, পছন্দের ওয়ালপেপার সেট করা। এ-বার থেকে এর জন্য অন্তত ডজন খানেক বিকল্প হাতে থাকছে। ওয়ালপেপার হিসেবে নিজের, বন্ধুদের বা পছন্দের মানুষের ছবি সেট করা যাবে। সঙ্গে আপডেট করা যাবে ব্যাকগ্রাউন্ড। ৬টা ইমোজির প্যাটার্ন তৈরি করতে চাইলে সেটাও মিলবে। ইমোজি, আবহাওয়া এবং রঙ বদলের বড় কালেকশনও পাওয়া যাবে।
লক স্ক্রিনে ফিল্টার যোগ:
ঠিক যেমন ফটোতে ফিল্টার লাগানো হয়, তেমনই লক স্ক্রিনেও এ-বার থেকে ফিল্টার যোগ করা যাবে। ন্যাচারাল, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট, ডুওটোন বা কালার ওয়াশ – যেমন খুশি। তবে ফিল্টারগুলো আইফোন থেকে বেছে নেওয়া ফটোগুলোতেই কাজ করবে। আগে থেকে থাকা ছবিগুলোতে নয়।
লক স্ক্রিনের সঙ্গে ফোকাস মোড লিঙ্ক:
ফোকাস মোডের ফ্যান হলে সুখবর। আইফোনের লক স্ক্রিনেও এই সুবিধে মিলবে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন লক স্ক্রিন রাখা যাবে। ব্যস্ত থাকলে এক রকম, আবার খোশ মেজাজে থাকলে অন্য রকম লক স্ক্রিন রাখা যাবে।
আরও পড়ুন- টেক্সট তো আছেই; WhatsApp এবার দেবে ভয়েস রেকর্ডিংও স্টেটাসে ব্যবহারের সুবিধা
লক স্ক্রিন থেকেই ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেক্ট করা যাবে:
কাস্টমাইজ করা প্রতিটা লক স্ক্রিন সেভ করা থাকে। সেখান থেকেই ওয়ালপেপার বেছে নেওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভালো দিক হল- ওয়ালপেপার বদলাতে সেটিংসে যেতে হবে না। শুধু দীর্ঘক্ষণ লক স্ক্রিন প্রেস করে থাকলেই হবে। ব্যবহারকারী নিজে লক স্ক্রিন তৈরিও করে নিতে পারেন।
নোটিফিকেশন আসবে নিচ থেকে:
দুর্দান্ত ব্যাকগ্রাউন্ড নোটিফিকেশনে ঢেকে যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। অ্যাপল এই নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছে। তাই বদলও এনেছে। এবার থেকে নোটিফিকেশন আসবে নিচে। ঘড়ি এবং উইজেটের মাঝে। চাইলে সেটাও হাইড করে রাখা যাবে।