TRENDING:

স্কুটারের জন্য ঠিকঠাক টায়ার বাছবেন কীভাবে? এই কায়দা জেনে রাখুন

Last Updated:

Scooter tyre- নির্মাণ সংস্থার স্পেসিফিকেশন মেনে চলা উচিত। তবে চালক চাইলে ভিন্ন কম্পাউন্ড, ট্রেড ডিজাইন কিংবা আধুনিক টায়ার বেছে নিতে পারেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: স্কুটারে যেমন খুশি টায়ার লাগানো যায় না। স্কুটি নির্মাণকারী সংস্থার ওইএম দেয়। এতে নির্দিষ্ট মডেলের স্কুটিতে কী কী টায়ার লাগানো যেতে পারে তার তালিকা দেওয়া থাকে। কিন্তু সেটাও একেবারে ফিট নাও হতে পারে।
News18
News18
advertisement

তবুও নির্মাণ সংস্থার স্পেসিফিকেশন মেনে চলা উচিত। তবে চালক চাইলে ভিন্ন কম্পাউন্ড, ট্রেড ডিজাইন কিংবা আধুনিক টায়ার বেছে নিতে পারেন। তবে কোনও নির্দিষ্ট মডেলের স্কুটারের জন্য কোন কোন টায়ার আদর্শ, তা বোঝার একটা সহজ ফর্মুলা রয়েছে।

সঠিক টায়ার লাগালে স্কুটারের পারফরম্যান্স ভাল হয়। মাইলেজও বেশি পাওয়া যায়। হ্যান্ডবুকেই টায়ারের স্পেসিফিকেশন লেখা থাকে। চাইলে স্টক টায়ারের সাইডওয়ালে লেখা সাংকেতিক সংখ্যাও দেখে নেওয়া যায়।

advertisement

ধরে নেওয়া যাক, কোনও স্কুটারের টায়ারে 90/100-10 53J লেখা। এ থেকে ওই টায়ারের আকার, কত ওজন বইতে পারে, সর্বোচ্চ কত গতিবেগে তোলা নিরাপদ, এই সব কিছু বোঝা যায়। উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে।

আরও পড়ুন- সাত মাসেই সব শেষ! প্রকল্পে কারচুপি হচ্ছে না তো! অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

advertisement

90 = টায়ারের প্রস্থ (মিলিমিটারে)।

100 = সাইডওয়ালের উচ্চতা, যা টায়ারের প্রস্থের শতকরা হিসেবে দেখানো হয়।

10 = চাকার ব্যাস (ইঞ্চিতে)।

53 = লোড ইনডেক্স, অর্থাৎ টায়ার সর্বোচ্চ কত কেজি ওজন সহ্য করতে পারবে। এখানে 53 মানে এই টায়ার 206 কেজি পর্যন্ত ওজন নিতে সক্ষম।

J = গতিসীমা। অর্থাৎ এই টায়ার সর্বোচ্চ 100 কিমি প্রতি ঘণ্টায় নিরাপদে চালানো যাবে।

advertisement

স্কুটারের জন্য টিউবলেস বা টিউব-টাইপ টায়ার কেনা যায়। ইদানীং টিউবলেস টায়ারই বেশি চলছে। কারণ এটা সুবিধা বেশি। সহজে পাংচার হয় না। হাওয়া বের হলেও ধীরে ধীরে বের হয়। রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা কম।

বাজারে মূলত তিন ধরনের ট্রেড প্যাটার্ন ডিজাইন পাওয়া যায়। সিমেট্রিক্যাল, অ্যাসিমেট্রিক্যাল ও ডিরেকশনাল। টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামনের ও পেছনের টায়ারে সবসময় একই ট্রেড প্যাটার্নের নেওয়া উচিত।

advertisement

সিমেট্রিক্যাল টায়ার বেশি দিন টেঁকে। সমানভাবে ক্ষয়। সাধারণ রাস্তায় চলার জন্য আদর্শ। অ্যাসিমেট্রিক্যাল টায়ার বৃষ্টির দিনের জন্য উপযোগী। এর বাইরের ও ভেতরের অংশের ট্রেড ডিজাইন আলাদা, কর্নারিং ও হ্যান্ডলিং উন্নত। ডিরেকশনাল টায়ার জল দ্রুত ঝরিয়ে দেয়। বৃষ্টির দিনে বেশি গ্রিপ ধরে রাখতে পারে।

আরও পড়ুুন- নাচ, গান পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া, কালচিনিতে পালিত হচ্ছে সোনম লোসর

রেডিয়াল নাকি বায়াস-প্লাই টায়ার? এই প্রশ্নও উঠবে। রেডিয়াল ও বায়াস-প্লাই টায়ারের পার্থক্য মূলত গঠনশৈলীতে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

বায়াস-প্লাই টায়ারে রাবারের স্তর ক্রিস-ক্রস করে বসানো হয়, ফলে সাইডওয়াল পুরু হয়। সহজে পাংচার হয় না। বেশি ওজন বইতে পারে। কম গতিতে ভালো ট্রাকশন দেয়। অন্য দিকে, রেডিয়াল টায়ারে রাবারের স্তর ট্রেড প্যাটার্নের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণে সাজানো থাকে, যা রোলিং রেজিস্ট্যান্স কমায়, ফলে মাইলেজ বেশি পাওয়া যায়। টেঁকেও অনেক দিন।

বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
স্কুটারের জন্য ঠিকঠাক টায়ার বাছবেন কীভাবে? এই কায়দা জেনে রাখুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল