পশ্চিমবঙ্গে গাড়ি বা বাইকে এই ধরণের নম্বর প্লেট লাগানো যায়। এর নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেই অনুযায়ী আবেদন করতে হয়। সব ঠিক থাকলে RTO নির্দিষ্ট ফি নিয়ে এই ধরণের নম্বর প্লেটের অনুমোদন দেয়। ফ্যান্সি বা ভিআইপি নম্বর প্লেটের জন্য শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে হয়। ই-নিলামে এগুলো বরাদ্দ করা হয়।
আরও পড়ুন- AC যে ঘরে আছে, সেখানে রাখুন ৩০০ টাকা দামের এই ছোট্ট ডিভাইস! অনেক খরচ বাঁচবে
advertisement
ধাপ ১: MoRTH (মিনিস্ট্রি অব রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড হাইওয়ে)-এর সরকারি ওয়েবসাইটে পাবলিক ইউজার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করুন।
ধাপ ২: লগইন করার পর পছন্দের নাম্বার নির্বাচন করুন।
ধাপ ৩: নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে নাম্বার সংরক্ষণ করুন।
ধাপ ৪: নির্দিষ্ট VIP নম্বরের জন্য নিলামে (বিডিং) অংশ নিন।
ধাপ ৫: নিলামের ফলাফল ঘোষণার পর, বিজয়ী হলে বাকি টাকা পরিশোধ করুন অথবা না পেলে টাকা ফেরত নিন।
ধাপ ৬: বরাদ্দ নাম্বারের জন্য RTO থেকে অনুমোদিত কাগজ সংগ্রহ করুন।
আবেদন করার আগে যা মনে রাখা জরুরি: পছন্দের VIP নাম্বার পাওয়া যাবে কি না, তা Parivahan-এর ওয়েবসাইট বা নিকটবর্তী RTO অফিস থেকে যাচাই করতে হবে।
আরও পড়ুন- ক্লাচ আগে চাপতে হয় না কি ব্রেক? বাইক তো চালান, বলুন তো দেখি!
নিলামে জিতলেও যদি পছন্দের নাম্বার না পান, তাহলে টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করতে পারেন।
নিলামে জেতার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে হবে, না হলে বরাদ্দ নম্বর বাতিল হয়ে যেতে পারে।
গাড়ির জন্য HSRP (High-Security Registration Plate) বাধ্যতামূলক, এমনকি ফ্যান্সি নাম্বার প্লেটের ক্ষেত্রেও।
মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট, ১৯৮৮-এর সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে ফ্যান্সি বা VIP নাম্বার প্লেট পেতে হলে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। এই ফি রাজ্যভেদে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ফ্যান্সি নাম্বার পেতে নিবন্ধন ফি (Registration Fee) এবং নিলামের আগে পছন্দের নাম্বার সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত টাকা জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট ফ্যান্সি নাম্বারের জন্য কত টাকা লাগবে, তা জানতে স্থানীয় RTO অফিস বা অনলাইন পোর্টালে গিয়ে দেখে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। এখানে উপলব্ধ ফ্যান্সি নম্বরের তালিকা এবং ফি সব দেওয়া আছে।